নিজস্ব প্রতিবেদক:চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০১৯) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে দি পেনিনসুলা চিটাগং লিমিটেড। আর গত বছরের তুলনায় এ বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) কমেছে ১০ পয়সা। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, দ্বিতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ১৩ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ২৩ পয়সা। অর্থাৎ ইপিএস ১০ পয়সা কমেছে। এছাড়া ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য হয়েছে ৩১ টাকা ১৮ পয়সা, যা ২০১৯ সালের ৩০ জুনে ছিল ৩১ টাকা ৬৩ পয়সা। আর এ প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৬৫ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ২৩ পয়সা।
কোম্পানিটি ২০১৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ৩০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১১৮ কোটি ৬৬ লাখ ৭০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ১৫১ কোটি ৬০ লাখ ১০ হাজার টাকা।
কোম্পানিটির মোট ১১ কোটি ৮৬ লাখ ৬৬ হাজার ৮০০টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্য মতে মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৪৫ দশমিক শূন্য ছয় শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক আট দশমিক ৮৬ শতাংশ, বিদেশি বিনোয়োগকারীদের কাছে শূন্য দশমিক ২১ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৪৫ দশমিক ৮৭ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
একইসঙ্গে সম্প্রতি চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০১৯) শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ১৭ পয়সা, আগের বছর একই সময় ছিল ৪১ পয়সা। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় কমেছে ২৪ পয়সা। এছাড়া ২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ৩১ টাকা ৮০ পয়সা, যা ২০১৯ সালের ৩০ জুনে ছিল ৩১ টাকা ৬৩ পয়সা। আর এ প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৩১ পয়সা। আগের বছর একই সময় ছিল তিন পয়সা।
এদিকে গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর এক দশমিক ৬৮ শতাংশ বা ৩০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ১৮ টাকা ২০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ১৭ টাকা ৬০ পয়সা। দিনভর কোম্পানিটির এক লাখ ৫৬ হাজার ৯৯১টি শেয়ার মোট ১৯২ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ২৭ লাখ ৯৯ হাজার টাকা। ওই দিনভর শেয়ারদর সর্বনিম্ন ১৬ টাকা ৫০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১৮ টাকা ২০ পয়সায় ওঠানামা করে। এক বছরের মধ্যে শেয়ারদর ১৬ টাকা ১০ পয়সা থেকে ৩১ টাকা ৯০ পয়সায় ওঠানামা করে।