ক্রীড়া ডেস্ক: আরনাস্তে ভালভার্দে যুগ সমাপ্তির পর বার্সেলোনায় এখন কিকে সেতিয়েন যুগ। তাই দলটির হয়ে নিজের প্রথম ম্যাচে ঘরের মাঠেই জয় না পাওয়াটা বড্ড বেরসিক হয়ে যেত তার জন্য। যে কারণে তিনি হয়তো গত পরশু গ্রানাডার বিপক্ষে ম্যাচে প্রথমার্ধে গোলের দেখা না পেয়ে হতাশ ছিলেন। শেষ পর্যন্ত অবশ্য দ্বিতীয়ার্ধের ৭৫ মিনিটে গোল করে কাতালানদের জয় নিশ্চিত করে তাকে স্বাগত জানান লিওনেল মেসি।
ন্যু-ক্যাম্পে গত পরশু গোল ব্যবধান কম হলেও কিকে সেতিয়েন যুগের শুরুতেই বার্সেলোনার পরিবর্তনটা ছিল চোখে পড়ার মতো। বলের দখল নিয়ে এমন আক্রমণাত্মক ফুটবলই তো চেয়েছে কাতালানিয়ান সমর্থকরা। প্রথমার্ধ গোলশূন্য থাকার পর দ্বিতীয়ার্ধে এসে গোলের দেখা পায় বার্সেলোনা। একমাত্র গোলের জাদুকর ছিলেন মেসি। দুর্দান্ত গোছালো আক্রমণে ৭৬তম মিনিটে আতোয়ান গ্রিজমানকে বল বাড়িয়ে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন কিং লিও। গ্রিজমানের পাস পেয়ে ব্যাকহিল করেন আর্তুরো ভিদাল। প্রথম ছোঁয়ায় ডান পায়ের শটে ঠিকানা খুঁজে নেন রেকর্ড ছয়বারের বর্ষসেরা ফুটবলার।
এর আগে ম্যাচের ১০ মিনিটের মধ্যেই গোলের ভালো সুযোগ তৈরি করেছিল মেসি-গ্রিজমানরা। সপ্তম মিনিটে আনসু ফাতি গোলের সুযোগ হাতছাড়া করেন। এরপর গ্রিজমান বল জালে জড়াতে ব্যর্থ হন। অন্যদিকে বার্সার আক্রমণ রুখতে দিশেহারা গ্রানাডা রক্ষণ একের পর এক ফাউল করেই গেছে! দ্বিতীয়ার্ধে দুবার হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন দলটির জার্মান সানচেজ। বদলে যাওয়া বার্সেলোনা ১০ জনের গ্রানাডাকে পেয়ে আরও চেপে ধরে। সে সুবাদে গোলের দেখা পায় দলটি। শেষ পর্যন্ত এ একটি গোলে এগিয়ে থেকে ঘরের মাঠে কিকে সেতিয়েনকে জয় উপহার দেয় দলটি।
গ্রানাডকে হারিয়ে ফের বার্সেলোনা জায়গা করে নিয়েছে লা লিগার পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে। সমান ৪৩ পয়েন্ট নিয়ে গোল ব্যবধানে পিছিয়ে দুইয়ে নেমে গেছে রিয়াল মাদ্রিদ।