ঢাকার ভোট আয়োজনে খরচ ৬০ কোটি টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে এবার পরিচালনা, আইন-শৃঙ্খলা ও প্রশিক্ষণ মিলিয়ে প্রায় ৬০ কোটি টাকা ব্যয়ের প্রাক্কলন করেছে নির্বাচন কমিশন, যা পাঁচ বছর আগের সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ব্যয়ের তিনগুণ। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ভোট গ্রহণ করা হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএমে।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, দুই সিটি করপোরেশনের নির্বাচন পরিচালনায় প্রায় ১৯ কোটি টাকা, আইনশৃঙ্খলা খাতে ‘পরিস্থিতি বিবেচনায়’ ২২ থেকে ২৫ কোটি টাকা এবং প্রশিক্ষণ খাতে অন্তত ১৬ কোটি টাকা ব্যয় বরাদ্দ রয়েছে। ভোট শেষে সব ব্যয় সমন্বয় করে এবার খরচ দাঁড়াতে পারে ৬০ কোটি টাকার মতো।

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন ভাগ হওয়ার পর ২০১৫ সালে প্রথম নির্বাচনে উত্তর ও দক্ষিণে পরিচালন ব্যয় ছিল ৯ কোটি ১২ লাখ টাকা। আর আইন-শৃঙ্খলাসহ সব মিলিয়ে ব্যয় দাঁড়িয়েছিল ২০ কোটি টাকা।

নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা জানান, এবারই প্রথম পুরো ঢাকায় ইভিএমে ভোট হচ্ছে। সেজন্য প্রায় ৩৫ হাজার ইভিএম তৈরি রাখা হয়েছে। এ নিয়ে প্রশিক্ষণ, প্রচার ও উপকরণ সংগ্রহে ব্যয় হচ্ছে বেশ। গত নির্বাচনের চেয়ে দ্বিগুণ করা হয়েছে এবারের ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের সম্মানী ভাতা। অন্যান্য খাতেও খরচ বিভিন্ন মাত্রায় বেড়েছে।

৫০ হাজারের বেশি ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার ভাতা ও প্রশিক্ষণ, ভোটকেন্দ্রে সশস্ত্র বাহিনীর কারিগরি টিম, প্রায় ২৫ হাজার পুলিশ সদস্য, এক হাজার এপিবিএন সদস্য ও ৩৫ হাজার আনসার সদস্য, বিজিবি-র?্যাবসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের বাজেট, নির্বাহী ও বিচারিক হাকিম, রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা এবং পরিবহন ও জ্বালানিসহ বিভিন্ন খাতের ব্যয় রয়েছে এর মধ্যে।

জানতে চাইলে ইসির বাজেট শাখার উপসচিব এনামুল হক বলেন, উত্তর ও দক্ষিণ সিটির নির্বাচন পরিচালনায় যে ১৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে, তার বড় একটি অংশ বরাদ্দ থাকবে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের জন্য। আর আইন-শৃঙ্খলাবিষয়ক বৈঠকের পর চাহিদা সাপেক্ষে এ খাতে বরাদ্দ চূড়ান্ত করা হবে।

নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক নূরুজ্জামান তালুকদার জানান, ইভিএম নিয়ে এবার বড় আকারে প্রশিক্ষণ ও প্রচারের ব্যবস্থা হয়েছে। ১১ জানুয়ারি শুরু হওয়া এ প্রশিক্ষণ ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে। সেজন্য ১৬ কোটি টাকা বাজেট ধরা হয়েছে।

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন সামনে রেখে ভোটের ১০ দিন আগে আইন-শৃঙ্খলাবিষয়ক বৈঠক ডেকেছে নির্বাচন কমিশন। ২২ জানুয়ারি আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবন মিলনায়তনে এ বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সভাপতিত্বে চার নির্বাচন কমিশনারও উপস্থিত থাকবেন।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব, মহাপুলিশ পরিদর্শক, বিজিবি মহাপরিচালক, র?্যাব-আনসার ও ভিডিপি/ডিজিএফআই/এনএসআই মহাপরিচালক, এসবির অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক, ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশ কমিশনার, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, ঢাকা রেঞ্জের উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক, দুই রিটার্নিং অফিসার, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা এবং সব সহকারী রিটার্নিং অফিসারকে বৈঠকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, নির্বাচনী এলাকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি, ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা পরিকল্পনা, প্রতি কেন্দ্রের নিরাপত্তায় কতজন করে নিয়োজিত থাকবেন সে বিষয়, সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার, আইন-শৃঙ্খলা সমন্বয়সহ সার্বিক ক্ষেত্রে ওই সভায় নির্দেশনা দেওয়া হবে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০