অন্যান্য কোম্পানির স্পন্সরদেরও শেয়ার কেনা উচিত

গত দুদিন ধরে বাজারে ইতিবাচক গতি দেখা যাচ্ছে। এর অন্যতম কারণ, সম্প্রতি স্কয়ার ফার্মার স্পন্সররা শেয়ার কেনার ঘোষণা দিয়েছে। এতে বিনিয়োগকারীর মধ্যে কিছুটা আস্থা তৈরি হয়েছে। যেহেতু একটি ভালো মানের কোম্পানির স্পন্সররা শেয়ার কিনছে, কাজেই বাজার এর চেয়ে নিচে নামবে না। অনেক কোম্পানির শেয়ারদর বর্তমানে ফেসভ্যালুর নিচে রয়েছে। বিশেষ করে ব্যাংক এবং আর্থিক খাতের অনেক কোম্পানির। এসব কোম্পানির স্পন্সরদেরও শেয়ার কেনা উচিত। গতকাল এনটিভির মার্কেট ওয়াচ অনুষ্ঠানে বিষয়টি আলোচিত হয়।

হাসিব হাসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দ্য ডেইলি স্টারের বিজনেস এডিটর সাজ্জাদুর রহমান এবং পূবালী ব্যাংক সিকিউরিটিজ লিমিটেডের এমডি ও সিইও মোহাম্মদ আহছান উল্লাহ।

সাজ্জাদুর রহমান বলেন, পুঁজিবাজারে ধারাবাহিক পতনে সূচক চার হাজারে নেমে এসেছিল। এতে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়। তারা শেয়ার বিক্রি করে বাজার থেকে বেরিয়ে যান। কিন্তু গত দুদিন ধরে বাজারে ইতিবাচক গতি দেখা যাচ্ছে। এর অন্যতম একটি কারণ, সম্প্রতি স্কয়ার ফার্মার স্পন্সররা শেয়ার কেনার ঘোষণা দিয়েছে। এতে বিনিয়োগকারীর মধ্যে কিছুটা আস্থা তৈরি হয়েছে। সাধারণ বিনিয়োগকারী এবং যারা এক থেকে দুবছর বাজার থেকে দূরে ছিলেন তারা বিনিয়োগ শুরু করেছেন। তারা মনে করছেন, যেহেতু একটি ভালো মানের কোম্পানির স্পন্সররা শেয়ার কিনছে, কাজেই বাজার এর চেয়ে নিচে নামবে না। আবার স্কয়ার ফার্মার মতো অনেক কোম্পানির শেয়ারদর ফেসভ্যালুর নিচে রয়েছে। বিশেষ করে ব্যাংক এবং আর্থিক খাতসহ আরও অনেক কোম্পানির। এসব কোম্পানির স্পন্সররা কেন শেয়ার কিনছে না। তাদেরও এখন শেয়ার কেনা উচিত।

তিনি আরও বলেন, দেশের উভয় পুঁজিবাজারে নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে বিএসইসি। ডিএসইর এমডি পদে কাজী ছানাউল হক ও সিএসইর এমডি পদে মামুন-উর-রশিদের নিয়োগের প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়। ডিএসইর এমডি পদে যাকে নিয়োগের অনুমোদন দেওয়া হলো তিনি আইসিবির সাবেক এমডি। প্রশ্ন এখানেই যে, তিনি আইসিবিতে দায়িত্বে থাকাকালীন কী ভূমিকা পালন করেছেন? বিগত দিনে তার সম্পর্কে অনেক আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে। এ রকম একটি দায়িত্বশীল জায়গায় তাকে বসিয়ে বিএসইসি যথাযথ ভূমিকা পালন করেনি। এখানেও তাদের ব্যক্তিগত স্বার্থ দেখেছে। এটা আসলে বাজারের জন্য নেতিবাচক। এখন হয়তো বাজার ইতিবাচক বলে এর নেতিবাচক প্রভাব দেখা যাচ্ছে না। যখন বাজার ফের নি¤œগতিতে থাকবে তখন এ বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা হবে। তখন নিয়ন্ত্রক সংস্থার স্বার্থের বিষয়টি বেরিয়ে আসবে। অন্যদিকে মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো সেভাবে দায়িত্ব পালন করছে না। বছরে তাদের কমপক্ষে দুটি কোম্পানি আনার কথা কিন্তু সেটা দেখা যাচ্ছে না। কেন বাজারে ভালোমানের শেয়ার আসছে না এ নিয়ে বিগত বছরগুলোতে মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর কোনো সভা বা আলোচনা করতেও দেখা যায়নি।

মোহাম্মদ আহছান উল্লাহ বলেন, ধারাবাহিক পতনসহ আরও বিভিন্ন কারণে বাজার আজ এ অবস্থায়। বাজারে আস্থার সংকট দূর করার জন্য ১০ হাজার কোটি টাকার পলিসি সাপোর্ট চাওয়া হচ্ছে। যদি এটি দেওয়া হয় কিছুটা আস্থা ফিরে আসবে বলে মনে হয়। তবে এ সাপোর্ট পেলে বাজার একেবারে ভালো হয়ে যাবেÑতা বলছি না।

শ্রুতিলিখন: শিপন আহমেদ

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০