বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ ডিজিটাল প্ল্যাটফর্র্ম, রাইডশেয়ারিং, ফুড ডেলভারি ও ই-কমার্স লজিস্টিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান পাঠাও। রাইডারদের ঝামেলাহীন চিহ্নিত করার জন্য সম্প্রতি এক হাজারের বেশি রাইডারের মাঝে ‘৯৯৯’ লেখা স্টিকার বিতরণ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সহায়তায় নগরীর আগ্রাবাদ বাদামতলী মোড়ে রাইডারদের এ স্টিকার বিতরণ করা হয়। এ সময় মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষে উপপুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক বন্দর) মো. তারেক আহম্মেদ, অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (বন্দর) অলক বিশ্বাস, অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (পশ্চিম) ছত্রধর ত্রিপুরাসহ অন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে পাঠাওয়ের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার (অপারেশনস) মোহাম্মদ রাশেদ হোসাইন, অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার (অ্যাকাউন্টস) আবদুল মোতালেব ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের হেড অব অপারেশনস ইশফাক চৌধুরী।
জনসাধারণের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ও ২৪ ঘণ্টা যে কোনো জায়গা থেকে জরুরি সেবা পেতে জনসচেতনতা বাড়াতে পাঠাও এ উদ্যোগ নিয়েছে। গত বছরের ১ নভেম্বর থেকে কার্যকর হওয়া ‘সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮’ অনুযায়ী রাইডশেয়ারিং সার্ভিসে যেসব মোটরযান ব্যবহার করা হবে, তাতে ৯৯৯ ব্যবহারের নির্দেশিকাযুক্ত স্টিকার থাকতে হবে এবং তা দৃশ্যমান হওয়া বাঞ্ছনীয়।
বর্তমান সরকারের ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ার লক্ষ্যে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগের ধারাবাহিকতায় ২০১৮ সাল থেকে ‘৯৯৯’ কোডের মাধ্যমে ন্যাশলাল ইমারজেন্সি সার্ভিস ব্যবস্থা চালু করা হয়। এ সার্ভিস থেকে পুলিশ-সম্পর্কিত তাৎক্ষণিক যে কোনো সেবা, ইমারজেন্সি অ্যাম্বুলেন্স সেবা ও ইমারজেন্সি ফায়ার সার্ভিস সেবা পাওয়া যাবে।