শোবিজ ডেস্ক:পুরো নাম পারভীন সুলতানা দিতি। তিনি ১৯৬৫ সালের ৩১ মার্চ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে জন্মগ্রহণ করেন।
১৯৮৪ সালে নতুন মুখের সন্ধানের মাধ্যমে চলচ্চিত্রে দিতির পথচলা শুরু। তার অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্রের নাম ‘ডাক দিয়ে যাই’, নির্মাতা উদয়ন চৌধুরী। এতে দিতির নায়ক ছিলেন আফজাল হোসেন। কিন্তু ছবিটি শেষ পর্যন্ত মুক্তি পায়নি। দিতি অভিনীত মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম চলচ্চিত্র ‘আমিই ওস্তাদ’। ছবিটি পরিচালনা করেছিলেন আজমল হুদা মিঠু। এরপর দিতি দুই শতাধিক ছবিতে কাজ করেছেন। সুভাষ দত্ত পরিচালিত ‘স্বামী-স্ত্রী’ ছবিতে দিতি নায়ক আলমগীরের স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করেন। এ ছবিতেই অভিনয় করে দিতি প্রথমবারের মতো জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।
দিতি ছোটপর্দার কিছু একক ও ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করেছেন। এ ছাড়া তিনি রান্নাবিষয়ক অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেছেন। তিনি ছিলেন দুই সন্তানের জননী মেয়ে লামিয়া আর ছেলের নাম দীপ্ত। চলচ্চিত্র নায়ক সোহেল চৌধুরীকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন। সোহেল চৌধুরী মারা যাওয়ার পর চলচ্চিত্র নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনকে বিয়ে করেন। সে সংসারও টেকেনি। দিতি ২০১৫ সালের জুলাইয়ে মস্তিষ্কের ক্যানসারে আক্রান্ত হন এবং ২০১৬ সালের ২০ মার্চে মৃত্যুবরণ করেন।
অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র‘হীরামতি’, ‘দুই জীবন’, ‘ভাইবন্ধু’, ‘উসিলা’, ‘চরম আঘাত’, ‘স্বামী-স্ত্রী’, ‘কালিয়া’ ‘মেঘের কোলে রোদ’, ‘পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনী’, দুই পৃথিবী’, ‘নয় নম্বর বিপদ সংকেত’, ‘শেষ উপহার’, ‘আকাশছোঁয়া ভালোবাসা’, ‘যে গল্পে ভালোবাসা নেই’ প্রভৃতি।
স্মরণ: দিতি

Add Comment