সাইফুল আলম, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী এসএম ফজলুল হকের মালিকানাধীন চয়েজ গ্রæপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান চয়েজ ওয়াশিং লিমিটেড। প্রতিষ্ঠান ব্যবসা পরিচালনার জন্য ঋণসুবিধা নিয়েছিল মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক আগ্রাবাদ শাখা থেকে। কিন্তু গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে নিয়মিত ব্যাংকের পাওনা পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয়। ফলে প্রতিষ্ঠানটির কাছে ব্যাংকটির মোট খেলাপি পাওনা দাঁড়িয়েছে ২১ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। আর এ পাওনা আদায়ে নিলামে উঠছে বন্ধকি সম্পত্তি।
জানা যায়, চট্টগ্রামের কালুরঘাট বিসিক শিল্পনগরীর প্রতিষ্ঠান চয়েজ ওয়াশিং লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটির মালিকানায় আছেন বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি এসএম ফজলুল হক। তিনি ব্যবসা পরিচালনার জন্য ব্যাংক থেকে ঋণ সুবিধা গ্রহণ করে। কিন্তু প্রাতিষ্ঠানিক ব্যর্থতায় মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড আগ্রাবাদ শাখায় গত ৩১ ডিসেম্বর খেলাপি হয়ে পড়ে। প্রতিষ্ঠানটির কাছে ব্যাংকটির সুদাসলে মোট খেলাপি পাওনা দাঁড়ায় প্রায় ২১ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। আর এ পাওনা আদায়ে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠানটির বন্ধকি সম্পত্তি নিলামে বিক্রয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করে। এ বিষয়ে ব্যাংকটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, দুটি প্লটে পাঁচতলা কারখানা ভবনসহ মোট ৪৫ ডিসিমেল জমি বিক্রি করা হবে। এর মধ্যে কালুরঘাট সম্প্রসারিত শিল্প অঞ্চলে বি ৩১ ও এস ২৭ নম্বর প্লটে সাড়ে সাত হাজার বর্গফুটের পাঁচতলা কারখানা ভবনসহ ১৭ দশমিক ৩৬ ডেসিমেল জমি এবং বি ৪৫, ৪৬, ৬০ এবং ৬১ নম্বরের প্লটের খালি জমি ২৭ দশমিক ৭৮ ডেসিমেল জমি আছে। এসব জমি, কারখানাসহ সব যন্ত্রপাতি নিলামে কিনতে আগ্রহীরা আগামী ২৪ ফেব্রæয়ারি আগ্রাবাদ শাখায় নিলামে অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেডের এক কর্মকর্তা শেয়ার বিজকে বলেন, চয়েজ গ্রæপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান চয়েজ ওয়াশিং লিমিটেড গত ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ সালে নিয়মানুসারে খেলাপি হয়ে পড়ে। যদিও এর আগে বেশ কয়েকবার ব্যাংকের নিয়মিত পাওনা পরিশোধে তাগাদা দেওয়া হয়। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক এসএম ফজলুল হকসহ অন্যান্য ব্যক্তিরা ব্যাংকের পাওনা পরিশোধে উদ্যোগ নেননি। ফলে আইন অনুসারে বন্ধকি সম্পত্তি নিলামে বিক্রয়ের মাধ্যমে পাওনা আদায়ে চেষ্টা করছি। এছাড়া স্থানান্তরযোগ্য আইনে মামলা করা হয়। প্রয়োজন হলে অর্থঋণ আদালতে মামলা করা হবে।
পোশাকমালিকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ’র সূত্রে জানা যায়, চয়েজ গ্রæপের একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান চয়েজ ওয়াশিং লিমিটেড। এ গ্রæপের অন্যান্য সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে আছেÑচয়েজ গার্মেন্টস লিমিটেড, মিশন অ্যাপারেলস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, ফ্যাশন অ্যাপারেলস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, ইন্টিগেল অ্যাপারেলস লিমিটেড (ইউনিট ১ ও ২), নিউ মর্নিং অ্যাপারেলস লিমিটেড, কমবাইন্ড টেক্সওয়্যার লিমিটেড (ইউনিট ১ ও ২), ঈপ্সিতা গার্মেন্টস লিমিটেড, অ্যাপারেলস ম্যানুফ্যাকচার (বিডি) লিমিটেড, লুসাই অ্যাপারেলস লিমিটেড, উইন ওয়্যার লিমিটেড, নন্দন অ্যাপারেলস লিমিটেড, এমএস ট্রেডিং করপোরেশন ইত্যাদি প্রতিষ্ঠান।
এ বিষয়ে জানার জন্য চয়েজ গ্রæপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এসএম ফজলুল হকের সঙ্গে তার ব্যবহƒত মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে সংযোগটি বন্ধ পাওয়া যায়। ফলে মন্তব্য পাওয়া যায়নি।