নতুন ১১ ওষুধ প্রচলনের অনুমোদন পেল অ্যাডভেন্ট ফার্মা

নিজস্ব প্রতিবেদক: নতুন ১১টি ওষুধ প্রচলনের অনুমোদন পেয়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি অ্যাডভেন্ট ফার্মা লিমিটেড। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, বাংলাদেশ সরকারের ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর অ্যাডভেন্ট ফার্মা ১১টি নতুন ওষুধ প্রচলনের অনুমোদন করেছে। ১১টি ওষুধের মধ্যে ছয়টি ইনজেকশন জাতীয়, চারটি তরল এবং একটি বোলাস প্রকৃতির।

এদিকে চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০১৯) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে কোম্পানিটি। তথ্যমতে, দ্বিতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫২ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৫৭ পয়সা। আর প্রথম দুই প্রান্তিকে (জুলাই-ডিসেম্বর, ২০১৯) ইপিএস হয়েছে এক টাকা ১৫ পয়সা। আগের বছর যা ছিল এক টাকা সাত পয়সা। এছাড়া ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা ২৪ পয়সা, যা ২০১৯ সালের ৩০ জুনে ছিল ১৩ টাকা ৫০ পয়সা। আর এ প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে এক টাকা ৩৫ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল এক টাকা ৪৯ পয়সা।

২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি দুই শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দেওয়ার ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে ইপিএস হয়েছে দুই টাকা ১০ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি এনএভি দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা ৫০ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে দুই টাকা ৭১ পয়সা।

এছাড়া চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০১৯) ইপিএস হয়েছে ৭০ পয়সা, আগের বছর একই সময় ছিল ৬১ পয়সা। এছাড়া ২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বরে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৪ টাকা ১৯ পয়সা, যা ২০১৯ সালের ৩০ জুনে ছিল ১৩ টাকা ৫০ পয়সা। আর প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ দাঁড়িয়েছে ৭০ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ৮০ পয়সা ছিল।

এর আগে সর্বশেষ ২০১৮ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরেও দুই শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ৫৯ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১২ টাকা ৭৪ পয়সা।

‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি ২০১৮ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। কোম্পানির ১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৮৩ কোটি ৬০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ১৮ কোটি ৮৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা।

কোম্পানিটির মোট আট কোটি ৩০ লাখ ছয় হাজার শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৩১ দশমিক ৪৪ শতাংশ শেয়ার রয়েছে, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর ২১ দশমিক ২০ শতাংশ এবং বাকি ৪৭ দশমিক ৩৬ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে।

সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য আয় (পিই) অনুপাত ১২ দশমিক পাঁচ ও হালনাগাদ অনিরীক্ষিত ইপিএসের ভিত্তিতে ১১।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০