করোনাভাইরাস প্রতিরোধে মাস্ক

চীন থেকে শুরু। এখন বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ছে করোনাভাইরাস। মৃত্যুর হার বেড়ে চলছে। চিন্তিত হয়ে পড়ছে গোটা বিশ্ব। কারণ এ ভাইরাস ঠেকাতে এখনও কোনো ওষুধ বা চিকিৎসা আবিষ্কৃত হয়নি। তবে ভাইরাস সংক্রমণ থেকে রক্ষার উপায় হিসেবে কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে মাস্ক ব্যবহার অন্যতম।

করোনাভাইরাস ছোঁয়াচে। বাতাসের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে, তাই নাক-মুখ ঢেকে রাখতে মাস্ক ব্যবহারের উপর গুরুত্ব দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। হাঁচি বা কাশি থেকে ভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে মাস্ক। হাত থেকে মুখের সংক্রমণের বিরুদ্ধেও সুরক্ষা দেয়। বায়ুবাহিত ভাইরাস থেকেও সুরক্ষা পাওয়া যায়।

করোনাভাইরাস আক্রমণের পর মাস্ক ব্যবহার বেড়েছে, কিন্তু সব মাস্কই ভাইরাস ঠেকাতে কার্যকর নয়। কিছু মাস্ক রয়েছে যেগুলো ভাইরাসের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দিতে যথেষ্ট নয়। এ মাস্কগুলো এতই ঢিলেঢালা থাকে যে সঠিকভাবে বায়ুকে ফিল্টার করতে পারে না। সার্জিক্যাল মাস্ক করোনাভাইরাস আটকাতে পারে, তবে নির্মূল করতে পারে না।

একটি গবেষণায় দেখা গেছে, রেসপিরেটর হিসেবে তৈরি ফেস মাস্ক ভাইরাস ঠেকাতে ভালো কাজ করে। রেসপিরেটর হচ্ছে এমন এক ধরনের কৃত্রিম শ্বাসযন্ত্র, যার মধ্যে থাকে একটি বিশেষায়িত ফিল্টার। এ মাস্ক মূলত বায়ুবাহিত ক্ষতিকর ক্ষুদ্র পদার্থের হাত থেকে শ্বাসনালিকে সুরক্ষা দেয়। যেকোনো ছোঁয়াচে ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে কার্যকরভাবে সুরক্ষা পাওয়া যাবে এ মাস্ক থেকে। তবে এটি দীর্ঘক্ষণ পরে না থেকে মাঝেমধ্যে খোলার বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে, ব্যবহৃত মাস্কে যেন ময়লা না লাগে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০