নিজস্ব প্রতিবেদক : কেউ চীন কিংবা সিঙ্গাপুর থেকে ফেরত আসা মানেই করোনাভাইরাস আক্রান্ত, এটা ভুল ধারণা। এমন ধারণা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা। ‘কোভিড-১৯’ নিয়ে গতকাল রাজধানীর মহাখালীতে আইইডিসিআর ভবনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
ডা. ফ্লোরা বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমরা ৬৬ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করেছি, কারও মধ্যেই করোনার উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। এতে বলা যেতে পারে, বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কোনো করোনা আক্রান্ত রোগী নেই। চীন কিংবা সিঙ্গাপুর ফেরত যাত্রী কিন্তু করোনা সন্দেহভাজন নয়। এটা আমরা বারবার বলছি। তার পরও চীন কিংবা সিঙ্গাপুর থেকে যারা ফেরত আসছেন, তারা অনেক অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছেন।’
আইইডিসিআরের পরিচালক বলেন, ‘চীনের সব প্রদেশে কিন্তু এ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়নি; সুতরাং চীন থেকে এলেই যে তারা করোনা আক্রান্ত রোগী হবে, এমন কোনো বিষয় নেই। এখন যেহেতু চীনের সঙ্গে সিঙ্গাপুর যুক্ত হয়েছে এবং সেখানে পাঁচ বাংলাদেশি আক্রান্ত হয়েছেন, সে কারণে সিঙ্গাপুর ফেরতদের নিয়েও বিভ্রান্তি সৃষ্টি হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘সিঙ্গাপুরে যে পাঁচ বাংলাদেশি নাগরিক আক্রান্ত হয়েছেন, তারা কিন্তু এক জায়গায় কাজ করেন। এরা ছাড়া অন্য কোথাও যারা কাজ করেন, বা বাংলাদেশ থেকে ভ্রমণে গিয়েছেন, তারাও কিন্তু আক্রান্তের তালিকায় নেই। সিঙ্গাপুর থেকে এলেই তাদের নিয়ে ভীত হতে হবে, কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবেÑএমন পরিস্থিতি কিন্তু এখন পর্যন্ত দাঁড়ায়নি। আমরা কেবল অতিরিক্ত সতর্কতা হিসেবে নিজ দায়িত্বে বাসার ভেতরে কোয়ারেন্টাইন থাকার অনুরোধ জানিয়েছে। জরুরি প্রয়োজন না হলে বাসার বাইরে তারা কম যাবেন। জনসমাগম হয় এ রকম জায়গা এড়িয়ে চলবেন। যদি বাসার বাইরে যেতে হয়, তাহলে মাস্ক ব্যবহার করবেন।
চীন-সিঙ্গাপুর থেকে এলেই তাকে হাসপাতালে আইসোলেশনে নেওয়ার প্রয়োজন নেই বলে উল্লেখ করে ফ্লোরা বলেন, ‘আমরা দেখতে পাচ্ছি অন্যান্য বিভাগ, যাদের সহযোগিতায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কাজ করে থাকে। তাদের অনেকেই চীন-সিঙ্গাপুর ফেরত যাত্রীদের বাসায় গিয়ে হাসপাতালের আইসোলেশনে নিয়ে আসছেন।