ক্রীড়া ডেস্ক : গত বিশ্বকাপ থেকেই সময়টা ভালো যাচ্ছে না দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটে। স্বাভাবিকভাবেই চাপে ছিলেন ফাঁফ ডু-প্লেসি। তাই ওয়ানডে অধিনায়কের পদ থেকে আগেই সরে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। এবার টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি নেতৃত্বেও ছাড়লেন এ ডানহাতি। ক্যারিয়ারের বাকি সময়ে আর অধিনায়কত্ব নয় বলেও জানিয়েছেন তিনি।
ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে ফাঁফ ডু-প্লেসিকে বিশ্রাম দিয়েছিল ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকা (সিএসএ)। ঠিক এ সময়ের মধ্যেই অধিনায়কত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্তটা নিয়ে ফেললেন তিনি। গতকাল এক বিবৃতিতে ব্যাপারটি নিশ্চিত করেন তিনি। দলের সাধারণ এক সদস্য হিসেবেই খেলা চালিয়ে যেতে চান এ ডানহাতি, ‘গত দুই তিন সপ্তাহে বিশ্রামে থাকার (ইংল্যান্ডের বিপক্ষে চলমান টি-টোয়েন্টি সিরিজে বিশ্রামে ছিলেন ডু-প্লেসি) সময় আমি নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে বেশ ভেবেছি। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে অধিনায়কত্ব করা আমার কাছে ছিল সবচেয়ে গৌরবের বিষয়। প্রাপ্তি তো কম ছিল না, কাজটাও সহজ ছিল না মোটেই। কখনও কখনও নিঃসঙ্গও মনে হয়েছে একটু। তবে দেশের হয়ে এ কাজটা করতে না পারলে আমি আজকের ডু-প্লেসি হতে পারতাম না। জীবনের আর কোনো অভিজ্ঞতার সঙ্গেই এটার তাই তুলনা হয় না।’
ডু-প্লেসির বয়স এখন ৩৫। হয়তো তাই এ তারকা নিজ থেকেই উপলব্ধি করছেন নতুন প্রজন্মের হাতে নেতৃত্ব তুলে দেওয়ার, ‘নতুন নেতৃত্ব ও একঝাঁক তরুণ খেলোয়াড় নিয়ে দলটা নতুন এক লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে। আমার মনে হয়েছে, সব সংস্করণের অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিলে সেটি দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি উপকার করবে। সিদ্ধান্ত নেওয়াটা খুবই কঠিন ছিল। তবে আমি কুইন্টনকে (ডি কক) সব ধরনের সাহায্য করে যাব।’
দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৩৬ টেস্ট, ৩৯ ওয়ানডে ও ৩৭টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন ডু-প্লেসি। এরইমধ্যে টেস্টে ১৮, ওয়ানডেতে ২৮ ও টি-টোয়েন্টিতে প্রোটিয়াদের তিনি জিতিয়েছে ৩৭ ম্যাচ। ডু-প্লেসি সরে যাওয়ায় সম্ভব কুইন্টন ডি কককেই প্রোটিয়াদের তিন সংস্করণের অধিনায়ক হতে যাচ্ছেন।