লরিয়াস পুরস্কার জিতে মেসির ইতিহাস

ক্রীড়া ডেস্ক : একের পর এক রেকর্ড গড়েই চলেছেন লিওনেল মেসি। সে ধারাবাহিকতায় গত পরশু প্রথম ফুটবলার হিসেবে তিনি নিজের করে নিয়েছেন লরিয়াস পুরস্কার। আর তাতেই ইতিহাসে নাম লিখিয়েছেন আর্জেন্টিনার বার্সেলোনা এ ফরোয়ার্ড। সেরা ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব একা হওয়া অবশ্য সম্ভব হয়নি মেসির পক্ষে। ভোটাভুটিতে তার সমান ভোট পেয়েছেন ফর্মুলা ওয়ানের লুইস হ্যামিল্টনও। ২০ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো দুজন বিজয়ী পেয়েছে লরিয়াস। ১৯৯৯ সাল থেকে লাওরিয়াস অ্যাকাডেমির পক্ষ থেকে বিশ্বসেরা ক্রীড়াবিদদের এ পদক প্রদান করা হচ্ছে।

লরিয়াস পুরস্কারের বিভিন্ন ক্যাটেগরির মাঝে মাত্র একটিতেই সাধারণ মানুষের ভোট দেওয়ার সুযোগ ছিল। গত ২০ বছরের সেরা ক্রীড়া মুহূর্তের সে পুরস্কার নিজের করে নিয়েছেন শচীন টেন্ডুলকার। ২০১১ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপ জেতার পর তাকে কাঁধে তুলে উল্লাস করেছিলেন ধোনি-যুবরাজরা। ভারত দলের সেই উদ্যাপন সমর্থকদের ভোটে গ্রেটেস্ট মোমেন্ট নির্বাচিত হয়েছে, পুরস্কার উঠেছে শচীনের হাতে।

এদিকে বর্ষসেরা নারী ক্রীড়াবিদ নির্বাচিত হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জিমন্যাস্ট সিমোনা বাইলস। আর বিশ্বসেরা দল নির্বাচিত হয়েছে ২০১৯ সালে বিশ্বকাপ জেতা দক্ষিণ আফ্রিকার রাগবি দল।

গত বছর প্রথম ফুটবলার হিসেবে ষষ্ঠবারের মতো ব্যালন ডি’অর ট্রফি জিতেছেন মেসি। সঙ্গে ক্যারিয়ারের দশম লা লিগা শিরোপা। গোলের পর গোল করে চলার কীর্তি তো আছেই। ৩৫ বছর বয়সী হ্যামিল্টন সেখানে গত বছর ষষ্ঠবারের মতো ফর্মুলা ওয়ান সেরার ট্রফি উঁচিয়ে ধরেছেন।

বার্লিনে গত পরশু আর্জেন্টিনা ও বার্সেলোনার মহাতারকা মেসি লরিয়াস পুরস্কার অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে না পারলেও ভিডিও বার্তায় ধন্যবাদ জানিয়েছেন, ‘প্রথমেই আমি ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছে এ আয়োজনে উপস্থিত না হতে পারায়। ইচ্ছা থাকার পরও আমি যোগ দিতে পারিনি। আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই অ্যাকাডেমিকে যারা আমাকে এ পদকের জন্য উপযুক্ত মনে করেছেন। এ পদকটি বিশেষ এবং গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমবারের মতো এটি গ্রহণ করতে পেরে আমি সম্মানিত। আমার পরিবার, সমর্থকসহ যারা আমার পাশে ছিলেন সবার কাছে আমি কৃতজ্ঞ।’

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০