সংসদে নসরুল হামিদ

মজুত গ্যাস চলবে ২০৩০ সাল পর্যন্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে বর্তমানে (২০২০ সালের ১ জানুয়ারি পর্যন্ত) উত্তোলনযোগ্য মজুত গ্যাসের পরিমাণ ১০ দশমিক ৬৩ ট্রিলিয়ন ঘনফুট। এ গ্যাস থেকে প্রতিদিন গড়ে ২৫৭০ মিলিয়ন ঘনফুট হারে গ্যাস উৎপাদন করা হচ্ছে। এটি অব্যাহত থাকলে এ মজুত দিয়ে ২০৩০ সাল পর্যন্ত বাসাবাড়ি ও শিল্প-কারখানায় সরবরাহ করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদবিষয়ক প্রতিমন্ত্

গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় সংসদের অধিবেশনে মন্ত্রীদের জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে আওয়ামী লীগের সদস্য হাবিবুর রহমানের এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে তিনি এ কথা জানান। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন।

নসরুল হামিদ আরও বলেন, নতুন গ্যাসফিল্ড আবিষ্কারে বর্তমানে রাঙামাটি জেলার সীতাপাহাড় ভূগঠনে ভূতাত্ত্বিক জরিপ চলমান। অনশোরের বিভিন্ন ব্লকে দ্বিমাত্রিক সিসমিক জরিপের জন্য ডিপিপি অনুমোদন পর্যায়ে রয়েছে। শ্রীকাইল ইস্ট#১ অনুসন্ধান কূপ খননের প্রস্তুতিমূলক কাজ চলমান। 

‘এছাড়া সমুদ্র অঞ্চলে তেল/গ্যাস অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনার জন্য চারটি (এসএস-৪, এসএস-৯, এসএস-১১ ও ডিএস-১২) ব্লকে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক তেল কোম্পানির সঙ্গে উৎপাদন বণ্টন চুক্তি (পিএসসি) স্বাক্ষরিত হয়েছে। এসব ব্লকে সম্পাদিত দ্বিমাত্রিক ও ত্রিমাত্রিক জরিপের ভিত্তিতে অগভীর সমুদ্রের তিনটি ব্লকে ২০১১ সালের মার্চের মধ্যে চারটি অনুসন্ধান কূপ খনন করা হবে। খুব শিগগিরই এসএস-৪-এ একটি অনুসন্ধান কূপ খনন শুরু হবে।’

জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমামের অপর এক প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ বলেন, ঢাকা মহানগরসহ আশেপাশের জেলাগুলোয় দুই লাখ ৪৪ হাজার ৭৬০ মিটার অবৈধ বিতরণ লাইন রয়েছে। তার মধ্যে ঢাকা মহানগরে এক হাজার ৪৬০ মিটার, ঢাকা জেলায় ১৮ হাজার ৫০০ মিটার, গাজীপুরে এক হাজার ৪৫০ মিটার, নারায়ণগঞ্জে এক লাখ ৭৯ হাজার ৩০০ মিটার ও মুন্সীগঞ্জে রয়েছে ৩১ হাজার মিটার।

বিচ্ছিন্ন করা অবৈধ বিতরণ পাইপলাইনের দৈর্ঘ্য দুই হাজার ৫৮৫ কিলোমিটার, বিচ্ছিন্ন গ্যাস বার্নারের সংখ্যা ১২ লাখ ৪৯ হাজার ৯০০। এজন্য বিভিন্ন থানায় মোট ১০৪টি মামলা করা হয়েছে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০