নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি এএফসি এগ্রো বায়োটেক লিমিটেডের ১০০ কোটি টাকার নন-কনভার্টেবল জিরো কুপন বন্ড ছাড়ার অনুমোদন দিয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, ব্যাংক ঋণ পরিশোধ এবং চলতি মূলধন জোগানের জন্য এএফসি এগ্রো বায়োটেক লিমিটেড নন-কনভার্টেবল জিরো কুপন বন্ড ইস্যু করে ১০০ কোটি টাকা উত্তোলনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বন্ডের মেয়াদ হবে পাঁচ বছর। এবং বন্ডটির স্থির সুদহার হবে ১১ শতাংশ।
এদিকে সম্প্রতি ২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটি ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে তিন টাকা ২২ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৯ টাকা ২৯ পয়সা।
এদিকে গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারদর তিন দশমিক ৬৪ শতাংশ বা ৮০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ২২ টাকা ৮০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ২২ টাকা ৫০ পয়সা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ২১ টাকা ৮০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ২৩ টাকা ৩০ পয়সায় হাতবদল হয়। দিনজুড়ে কোম্পানিটির সাত লাখ ৯১ হাজার ৩৪৩টি শেয়ার মোট ৫৬৭ বার হাতবদল হয়। যার বাজারদর এক কোটি ৭৯ লাখ টাকা। গত এক বছরে কোম্পানির শেয়ারদর ১৬ টাকা ৮০ পয়সা থেকে ৩৩ টাকা ৭০ পয়সায় ওঠানামা করে।
এর আগে কোম্পানিটি ২০১৮ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে বিনিয়োগকারীদের ১৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। ওই বছর কোম্পানির ইপিএস হয়েছিল তিন টাকা ৯২ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি এনএভি ছিল ১৮ টাকা ৪৭ পয়সা। আর মুনাফা হয়েছিল ৩৫ লাখ ৬৭ হাজার টাকা।
কোম্পানিটি ২০১৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ৩০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১১৫ কোটি ২১ লাখ ৬০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৮৬ কোটি ৭৮ লাখ ৩০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির মোট ১১ কোটি ৫২ লাখ ১৬ হাজার ২০০ শেয়ার রয়েছে। ডিএসই থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে ৩০ দশমিক ২৯ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক ৩৫ দশমিক ৭৯ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৩৩ দশমিক ৯২ শতাংশ শেয়ার।