নিজস্ব প্রতিবেদক: বস্ত্র খাতের কোম্পানি এমএল ডায়িং লিমিটেড সম্প্রতি ৫০ লাখ পাউন্ড সুতা রপ্তানির চুক্তি করেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, ভারতীয় প্রাইভেট কোম্পানি এএমজে ন্যারো ফেব্রিকস প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে ১৭ ফেব্রুয়ারি একটি রপ্তানি চুক্তি স্বাক্ষর করে এমএল ডায়িং লিমিটেড। চুক্তি অনুযায়ী কলকাতার রাজেন্দ্র প্রসাদ সরণিতে অবস্থিত ভারতীয় ওই কোম্পানির কাছে ৫০ লাখ পাউন্ড রঙিন সুতা বিক্রি করবে এমএল ডায়িং।
এদিকে গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর এক দশমিক ২৩ শতাংশ বা ৭০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ৫৭ টাকা ৫০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৫৮ টাকা ৪০ পয়সা। দিনজুড়ে আট লাখ ৯৫ হাজার ৮৬১ শেয়ার মোট ৮৬০ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর পাঁচ কোটি ১৫ লাখ ৫৬ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৫৫ টাকা ৬০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৬২ টাকায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ২২ টাকা ৪০ পয়সা থেকে ৬২ টাকায় ওঠানামা করে।
সম্প্রতি ৩০ জুন ২০১৯ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য পাঁচ শতাংশ নগদ ও ১৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ। ব্যবসা সম্প্রসারণ ও চলতি মূলধন জোগানের লক্ষ্যে সঞ্চিত আয় মূলধন হিসেবে ব্যবহারের জন্য বোনাস লভ্যাংশ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ। আর এই বোনাস শেয়ার পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকে দেওয়া হবে। এছাড়া কোম্পানির ক্যাপিটাল রিজার্ভ কিংবা রিভ্যালুয়েশন রিজার্ভ অথবা আন-রিয়েলাইজড গেইন অথবা পরিশোধিত মূলধন কমিয়ে অথবা এমন কোনো উৎস থেকে এ বোনাস দেওয়া হবে না, যার কারণে ডিভিডেন্ড-পরবর্তী রিটেইনড আর্নিংস নেগেটিভ অথবা ডেবিট ব্যালেন্স হয়।
আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা সাত পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৮ টাকা ৩০ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৮৮ পয়সা।
এর আগে ২০১৮ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের ২০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছিল। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে এক টাকা ৩৫ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি এনএভি দাঁড়িয়েছে ২৫ টাকা ছয় পয়সা। যা তার আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে এক টাকা ৫৮ পয়সা ও ২৩ টাকা ৭১ পয়সা।
২০১৮ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি। অনুমোদিত মূলধন ৩১০ কোটি এবং পরিশোধিত ২২১ কোটি ৩৬ লাখ ৬০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৩০৪ কোটি ৯ লাখ ৩০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির মোট ২২ কোটি ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ৮০০ শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৩১ দশমিক ৪০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ২৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারী ২১ দশমিক ৮৯ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে ২২ দশমিক ৮৮ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য আয় (পিই) অনুপাত ৫৬ দশমিক ৭০ এবং হালনাগাদ অনিরীক্ষিত ইপিএসের ভিত্তিতে ৩১ দশমিক শূন্য ছয়।
