এসকে সিনহার মামলা বিচারের জন্য বদলি

শেয়ার বিজ ডেস্ক : চার কোটি টাকা স্থানান্তর ও আত্মসাতের অভি‌যো‌গে দুদ‌কের মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাসহ (এসকে সিনহা) অন্য আসামিদের মামলা বিচারের জন্য বদলি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ মামলাটি বিচারের জন্য বিশেষ জজ আদালত-৪ এ বদলির আদেশ দেন।

দুদকের আইনজীবী মীর আহমেদ আলী সালাম বলেন, আগামী ২৫ মার্চ বদলি আদালতে মামলাটির অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানি হবে।

এই মামলায় এসকে সিনহাসহ পলাতক ১০ আসামির বিরুদ্ধে গত ১৮ এপ্রিল বিজি প্রেস থেকে গেজেট আকারে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে মর্মে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এদিন পলাতক দুই আসামি ফারমার্স ব্যাংকের (বর্তমান পদ্মা ব্যাংক লিমিটেড) সাবেক এমডি একেএম শামীম ও এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও সাবেক ক্রেডিট প্রধান গাজী সালাহউদ্দিন আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান। আদালত তাদের জামিন দেন।

অন্য মামলায় গ্রেফতার থাকা মো. মাহবুবুল হক চিশতীকেও (বাবুল চিশতী) এর আগে এই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। তাই এসকে সিনহাসহ মোট আট আসামি এখন পলাতক। তারা হলেন- ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বপন কুমার রায়, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট সফিউদ্দিন আসকারী আহমেদ, ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. লুৎফুল হক, টাঙ্গাইলের মো. শাহজাহান, নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা, সাভারের শ্রীমতি সান্ত্রী রায় (সিমি), শ্রী রণজিৎ চন্দ্র।

এর আগে গত ২০ ফেব্রুয়ারি পলাতক ১০ আসা‌মিকে হাজির হতে গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত।

গত ৯ ডিসেম্বর ১১ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করা হয়। অভিযোগত্রে ফারমার্স ব্যাংকের নিরীক্ষা কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুল হক চিশতীর (বাবুল চিশতী) নাম নতুনভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আর তদন্তকালে এজাহারনামীয় আসামি ফারমার্স ব্যাংকের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও সাবেক শাখা ব্যবস্থাপক (গুলশান) মো. জিয়া উদ্দিন আহমেদ মারা যাওয়ায় তাকে এই মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

সেই অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে গত ৫ জানুয়ারি এসকে সিনহাসহ অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতা‌রি প‌রোয়ানা জা‌রি করেন। অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে অসৎ উদ্দেশ্যে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে প্রভাব বিস্তার করে নিজেরা লাভবান হয়ে এবং অন্যদের লাভবান করে অবৈধভাবে ভুয়া ঋণ সৃষ্টির মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর করে নগদে উত্তোলন ও বিভিন্ন পে-অর্ডারের মাধ্যমে স্থানান্তর করে অর্জিত অপরাধলব্ধ আয় উত্তোলন, স্থানান্তর ও নিজেদের ভোগদখলে রেখে অবৈধ প্রকৃতি উৎস অবস্থান গোপন করে পাচার করেছেন বা পাচারের ষড়যন্ত্রে সংঘবদ্ধভাবে সম্পৃক্ত থেকে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/১০৯ ও ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২)(৩) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

এর আগে ২০১৯ সালের ১০ জুলাই ক্ষমতার অপব্যবহার করে ভুয়া ঋণের মাধ্যমে চার কোটি টাকা স্থানান্তর ও আত্মসাৎ করার অভিযোগে মামলাটি করে দুদক। গত ৪ ডিসেম্বর এ মামলায় অভিযোগপত্র অনুমোদন দেয় সংস্থাটি।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০