নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য বিশেষ ফান্ড গঠনে বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারের সুফল মিলেছে। আগের সপ্তাহের মতো বিদায়ী সপ্তাহেও পুঁজিবাজারের লেনদেন ইতিবাচক ছিল। সপ্তাহজুড়ে উভয় পুঁজিবাজারের সব সূচক বেড়েছে। একইসঙ্গে বেড়েছে টাকার পরিমাণে লেনদেন ও বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারদর। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লেনদেন ৭৪ শতাংশ ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) লেনদেন ৫৯ শতাংশ বেড়েছে।
তথ্যমতে, বিদায়ী সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসে ডিএসইতে প্রায় চার হাজার ৫২১ কোটি ৭৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে; যা আগের সপ্তাহের চেয়ে প্রায় এক হাজার ৯২৫ কোটি ২৪ লাখ টাকা বা ৭৪ দশমিক ১৫ শতাংশ বেশি। ডিএসইতে দৈনিক গড় লেনদেন হয়েছে প্রায় ৯০৪ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। এর আগের সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছিল প্রায় ৫১৯ কোটি ৩০ লাখ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে গড় লেনদেন প্রায় ৩৮৫ কোটি চার লাখ টাকা বেড়েছে।
ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন ১২ হাজার ১৯৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা বা তিন দশমিক ৫১ শতাংশ বেড়েছে। আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল তিন লাখ ৪৭ হাজার ৬৬ কোটি ১৫ লাখ টাকা। এদিকে এ সময় ডিএসইর প্রধান সূচক (ডিএসইএক্স) ১৬৮ পয়েন্ট বা তিন দশমিক ৬৯ শতাংশ বেড়ে চার হাজার ৭৩৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অন্য সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ৪৪ পয়েন্ট বা চার দশমিক ২১ শতাংশ, সিএসই-৩০ সূচক ৫৬ পয়েন্ট বা তিন দশমিক ৬৬ শতাংশ ও সিডিএসইটি সূচক ৩৬ পয়েন্ট বা তিন দশমিক ৯৩ শতাংশ বেড়েছে। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট ৩৫৮টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ২৪২টি বা ৬৮ শতাংশের দর বেড়েছে। এর বিপরীতে কমেছে ৯১টির বা ২৫ শতাংশের দর। সপ্তাহশেষেও অপরিবর্তিত ছিল ২৫টি বা সাত শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মন্দা অবস্থা কাটিয়ে উঠতে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ বাড়াতে প্রত্যেক ব্যাংক ২০০ কোটি টাকা করে বিশেষ ফান্ড গঠন করতে পারবে উল্লেখ করে গত ১০ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংক সার্কুলার জারি করে। ওই সার্কুলারের পরই পুঁজিবাজারে গতি ফিরতে শুরু করে। একইসঙ্গে প্রতি কার্যদিবসেই টাকার অঙ্কে লেনদেন বাড়তে থাকে।
তথ্যমতে, বিদায়ী সপ্তাহে সব ক্যাটেগরির শেয়ারের লেনদেনে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এতে বেড়েছে লেনদেন। এ সময়ে ডিএসইর মোট লেনদেনের ৮৭ দশমিক চার শতাংশ ছিল ‘এ’ ক্যাটেগরির শেয়ার। সপ্তাহজুড়ে ‘এ’ ক্যাটেগরি তিন হাজার ৯৩৫ কোটি ৭০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর আগের সপ্তাহে ওই লেনদেনের পরিমাণ ছিল প্রায় দুই হাজার ২০৯ কোটি চার লাখ টাকা। গেল সপ্তাহে মোট লেনদেনের ১০ দশমিক ৭৩ শতাংশ ছিল ‘বি’ ক্যাটেগরির শেয়ার। এ সময়ে ওই ক্যাটেগরির প্রায় ৪৮৫ কোটি পাঁচ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আগের সপ্তাহে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ২৭২ কোটি ৬৬ লাখ ২৫ হাজার টাকা।