সাপ্তাহিক লেনদেনের তিন শতাংশ লাফার্জহোলসিমের

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে লেনদেনের শীর্ষে উঠে আসে সিমেন্ট খাতের কোম্পানি লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির দুই কোটি ৬৬ লাখ ৮১ হাজার ৫৫টি শেয়ার ১৩১ কোটি দুই লাখ ৫৫ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের দুই দশমিক ৯০ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর দুই দশমিক ৪৭ শতাংশ কমেছে।

এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশের শেয়ারদর শূন্য দশমিক ৪২ শতাংশ বা ২০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ৪৭ টাকা ৫০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৪৭ টাকা ৩০ পয়সা। দিনজুড়ে ৩২ লাখ ৯০ হাজার ১০৩টি শেয়ার মোট দুই হাজার ৩২৬ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ১৫ কোটি ৭৬ লাখ ৭৬ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৪৭ টাকা ১০ পয়সা থেকে ৪৮ টাকা ৬০ পয়সায় লেনদেন হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ৩০ টাকা ৭০ পয়সা থেকে ৫১ টাকা ৬০ পয়সায় ওঠানামা করে।

২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরে ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৯৬ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা ৪১ পয়সা। এর আগে ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ পর্যন্ত সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটি ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে, যা তার আগের বছরের সমান। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটি ইপিএস করেছে ৬৯ পয়সা ও এনএভি ১৩ টাকা ১৫ পয়সা। এটি আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে এক টাকা ৯২ পয়সা ও ১৩ টাকা ২৪ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে ৮০ কোটি ৫৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা, যা আগের বছর ছিল ২২২ কোটি ৬৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা।

২০০৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি। এক হাজার ৪০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন এক হাজার ১৬১ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। কোম্পানির রিজার্ভের পরিমাণ ৩৯৬ কোটি ৪৫ লাখ ৯০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির মোট ১১৬ কোটি ১৩ লাখ ৭৩ হাজার ৫০০টি শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে ৬৪ দশমিক ৬৮ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর ১৫ দশমিক ৮৩ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারী এক শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে বাকি ১৮ দশমিক ৪৯ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

আর লেনদেনের দ্বিতীয় শীর্ষ অবস্থানে ছিল খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির এক কোটি ৯৭ লাখ ৫৮ হাজার ৩৪৯টি শেয়ার ১১৪ কোটি ৫১ লাখ ৯৩ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের দুই দশমিক ৫৩ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর তিন দশমিক ৪১ শতাংশ বেড়েছে।

এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ারদর শূন্য দশমিক ৫২ শতাংশ বা ৩০ পয়সা কমে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ৫৭ টাকা ৫০ পয়সায় হাতবদল হয়। শেয়ারটির সমাপনী দর দাঁড়িয়েছে ৫৭ টাকা ৬০ পয়সা। ওইদিন কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৫৭ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫৮ টাকা ৭০ পয়সায় হাতবদল হয়। আর গত এক বছরে শেয়ারটির দর ৩৪ টাকা ৯০ পয়সা থেকে ৬৮ টাকা ২০ পয়সায় ওঠানামা করে। 

‘এ’ ক্যাটেগরির খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড ২০১০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। কোম্পানিটির ৭০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৩৯৭ কোটি ৪১ লাখ ৩০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৬০৪ কোটি ১৯ লাখ ১০ হাজার টাকা।

কোম্পানিটির মোট ৩৯ কোটি ৭৪ লাখ ১৩ হাজার ১৮০টি শেয়ার রয়েছে। মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকের কাছে ৬৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ১২ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে শূন্য দশমিক ৭৪ শতাংশ এবং ১৭ দশমিক ২৭ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে।

২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি ৪০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে তিন টাকা ৫০ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২৫ টাকা ২০ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ছয় টাকা ২০ পয়সা।

তালিকায় তৃতীয় স্থানে ছিল সামিট পাওয়ার লিমিটেড। কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে সাত দশমিক ১৯ শতাংশ। আলোচ্য সপ্তাহে কোম্পানিটির দুই কোটি ৩৩ লাখ ৪৬ হাজার ৫৯৩ শেয়ার ১০১ কোটি ৭১ লাখ ১৫ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের দুই দশমিক ২৫ শতাংশ।

২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত অর্ধ বার্ষিকের (জুলাই-ডিসেম্বর, ২০১৯) আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে অন্তর্বর্তীকালীন ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে ইপিএস হয়েছে দুই টাকা ৮৪ পয়সা; যা আগের বছর একই সময় ছিল দুই টাকা ৫৪ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৩১ টাকা ১২ পয়সা।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০