এমআই সিমেন্টের শেয়ারদর বেড়েছে ৪০ দশমিক দুই শতাংশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) এমআই সিমেন্ট ফ্যাক্টরি লিমিটেড গত সপ্তাহে দর বৃদ্ধির তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ৪০ দশমিক ২০ শতাংশ। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্রমতে, গত সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে ৪৮ লাখ ৯০ হাজার ৮০০ টাকার শেয়ার। সপ্তাহ শেষে মোট লেনদেনের পরিমাণ দুই কোটি ৪৪ লাখ ৫৪ হাজার টাকা।

এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর তিন দশমিক ৯৬ শতাংশ বা দুই টাকা ১০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ৫৫ টাকা ১০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৫৫ টাকা ১০ পয়সা। দিনজুড়ে ৬৭ হাজার ৮৩৮টি শেয়ার মোট ১৭৩ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৩৬ লাখ ৭৭ হাজার টাকা। আর দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৫১ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫৬ টাকায় ওঠানামা করে। এক বছরের মধ্যে শেয়ারদর ৩৬ টাকা থেকে ৭৫ টাকা ৭০ পয়সায় ওঠানামা করে।

সিমেন্ট খাতের এ কোম্পানিটি ২০১১ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ৫০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১৪৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ২৭১ কোটি ৮৯ লাখ ২০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির ১৪ কোটি ৮৫ লাখ শেয়ার রয়েছে। ডিএসই থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৬৭ দশমিক শূন্য আট শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক ১৭ দশমিক ৪৩ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারী শূন্য দশমিক ২৭ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ১৫ দশমিক ২২ শতাংশ শেয়ার।

২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটি ১০ শতাংশ নগদ ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে ইপিএস হয়েছে এক টাকা ৬৯ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি এনএভি দাঁড়িয়েছে ৪৮ টাকা ২২ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থ প্রবাহ হয়েছে তিন টাকা ৫৭ পয়সা। এর আগে ২০১৮ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে; যা তার আগের বছর ছিল ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছিল দুই টাকা ১৩ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়ায় ৪৭ টাকা ৯৮ পয়সা। আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে চার টাকা ৪৫ পয়সা ও ৪৭ টাকা ৮০ পয়সা।

তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে প্রিমিয়ার সিমেন্ট মিলস লিমিটেড। কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে ৩৯ দশমিক ৪৫ শতাংশ। আলোচ্য সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন ২৬ লাখ ২৪ হাজার ২০০ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর পুরো সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে এক কোটি ৩১ লাখ ২১ হাজার টাকার শেয়ার।

সর্বশেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ারদর শূন্য দশমিক ৬৭ শতাংশ বা ৫০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ৭৫ টাকা ১০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৭৬ টাকা। দিনজুড়ে ৫০ হাজার ৭৫৪টি শেয়ার মোট ১১৬ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৪০ লাখ তিন হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৭২ টাকা ৭০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৮২ টাকায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ৩৯ টাকা ৪০ পয়সা থেকে ৮৪ টাকা ৬০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।

কোম্পানিটি ২০১৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। কোম্পানির ৫০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১০৫ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট ১০ কোটি ৫৪ লাখ ৫০ হাজার শেয়ার রয়েছে। মোট শেয়ারের মধ্যে ৪৮ দশমিক ২৫ শতাংশ উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের, প্রাতিষ্ঠানিক ১৫ দশমিক ২৬ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে শূন্য দশমিক শূন্য এক শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে ৩৬ দশমিক ৪৮ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে কোহিনুর কেমিক্যালস কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেড। কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে ৩৫ দশমিক ২৫ শতাংশ। আলোচ্য সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন দুই কোটি ৪৩ লাখ ৮৭ হাজার ২৫০ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর পুরো সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ১২ কোটি ১৯ লাখ ৩৫ হাজার টাকার শেয়ার।

চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ স্টিল রি-রোলিং মিলস লিমিটেড। কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে ২৭ দশমিক ৩৭ শতাংশ। আলোচ্য সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন চার কোটি ১২ লাখ ৫৪ হাজার ৬০০ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর পুরো সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ২০ কোটি ৬২ লাখ ৭৩ হাজার টাকার শেয়ার।

পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে রিজেন্ট টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড। কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে ২৪ দশমিক ১৪ শতাংশ। আলোচ্য সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন এক কোটি ৭১ লাখ ৪৪ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর পুরো সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে আট কোটি ৫৭ লাখ ২০ হাজার টাকার শেয়ার।

ষষ্ঠ অবস্থানে থাকা আইসিবি এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট মিউচুয়াল ফান্ড ওয়ান স্কিমের ইউনিটদর বেড়েছে ২৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ। আলোচ্য সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন এক কোটি ৫৮ লাখ ৩৪ হাজার ৪০০ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর পুরো সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে সাত কোটি ৯১ লাখ ৭২ হাজার টাকার শেয়ার।

এর পরের অবস্থানে ছিল এমএল ডায়িং লিমিটেড। কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে ২২ দশমিক ৯২ শতাংশ। আলোচ্য সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন পাঁচ কোটি ৪০ লাখ আট হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর পুরো সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ২৭ কোটি ৪০ হাজার টাকার শেয়ার।

অষ্টম অবস্থানে থাকা ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ডের শেয়ারদর বেড়েছে ২২ দশমিক ৮৩ শতাংশ। আলোচ্য সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন ১২ কোটি ৪৪ লাখ ২৪ হাজার ৬০০ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর পুরো সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ৬২ কোটি ২১ লাখ ২৩ হাজার টাকার শেয়ার।

নবম ও দশম স্থানে ছিল সায়হাম টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড ও গ্লোবাল হেভি কেমিক্যালস লিমিটেড। সায়হাম টেক্সটাইলের শেয়ারদর বেড়েছে ২২ দশমিক ৭৩ শতাংশ। আর গ্লোবাল হেভি কেমিক্যালসের শেয়ারপ্রতি দর বেড়েছে ২১ দশমিক ৪৮ শতাংশ।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০