শেয়ার বিজ ডেস্ক: সমন্বিত উন্নয়ন পরিকল্পনার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা যখন উন্নয়ন প্রকল্পের পরিকল্পনা গ্রহণ করি, সে উন্নয়ন কাজগুলো একটি আরেকটির পরিপূরক হওয়া উচিত।
গতকাল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পিপিপি (সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব) প্রকল্পের সোনারগাঁও-বুয়েট লিংকের হাতিরঝিল অংশের পুনঃঅ্যালাইনমেন্টের উপস্থাপনা দেখার সময় এ নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পিপিপি প্রকল্পের আওতায় সোনারগাঁও-বুয়েট লিংকের নতুন অ্যালাইনমেন্টে (প্রান্তিককরণে) সম্মতি দেন। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কুড়িল-বনানী-মহাখালী-তেজগাঁও-মগবাজার-কমলাপুর-সায়েদাবাদ-যাত্রাবাড়ী হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়ে (কুতুবখালী) পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার মূল এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের বিষয়ে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী।
বিমানবন্দর থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়ের কুতুবখালী পয়েন্ট পর্যন্ত মূল এক্সপ্রেসওয়ের দৈর্ঘ্য ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার, লিংক ও র্যাম্পসহ এক্সপ্রেসওয়ের মোট দৈর্ঘ্য ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার হবে।
এক্সপ্রেসওয়ের নতুন অ্যালাইনমেন্ট অনুসারে, সোনারগাঁও-বুয়েট লিংকের হাতিরঝিল অংশটি হাতিরঝিলের দক্ষিণ সীমানায় অবস্থিত বিআইএম ভবনের নিকটবর্তী এক্সপ্রেসওয়েতে সংযুক্ত হবে এবং সোনারগাঁও-বুয়েট লিংকটি পান্থকুঞ্জ ও কাঁটাবন হয়ে পলাশীতে গিয়ে শেষ হবে।
পুরোনো অ্যালাইনমেন্ট অনুযায়ী লিংকটি হাতিরঝিল লেকের মাঝামাঝি এবং পান্থকুঞ্জ হয়ে মূল এক্সপ্রেসওয়েতে সংযুক্ত হওয়ার কথা ছিল। এ সংযোগের কারণে পুরান ঢাকা ও ধানমন্ডির বাসিন্দারা উপকৃত হবেন এবং এটি দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ২০ শতাংশ যানবাহন প্রবেশ করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
হাতিরঝিলসহ অন্য জলাশয়গুলো রক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করেন প্রধানমন্ত্রী। অতীতে বিভিন্ন সময় রাজধানীর জলাশয়গুলো ধ্বংস হওয়ার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, মতিঝিলে বড় একটি ঝিল (জলাশয়) ছিল; কিন্তু পাকিস্তানি শাসক আইয়ুব খান তা ধ্বংস করে দিয়েছিলেন।
পান্থপথে বক্স কালভার্টের বিরোধিতা করে তিনি বলেন, বক্স কালভার্ট বন্ধ করে এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করতে পারলে সবচেয়ে ভালো হতো।
প্রকল্পের বিশেষজ্ঞ কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী, সদস্য অধ্যাপক মো. শামসুল হক ও স্থপতি ইকবাল হাবিব যৌথভাবে উপস্থাপনা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি-বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক জুয়েনা আজিজ, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, প্রকল্প পরিচালক এএইচএম শাখাওয়াত আকতার প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে জয়িতা টাওয়ার নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় নির্মিতব্য ভবনের সংশোধিত স্থাপত্য নকশা দেখেন শেখ হাসিনা। নকশা দেখার সময় প্রধানমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন। নকশা উপস্থাপন করেন জয়িতা ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফরোজা খান।