নিজস্ব প্রতিবেদক: ব্যাংক খাতের কোম্পানি ডাচ্-বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ ৫০০ কোটি টাকার তৃতীয় সাবঅর্ডিনেটেড বন্ড ইস্যুর অনুমোদন দিয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, ব্যাসেল থ্রির অধীনে টায়ার-টু মূলধনের শর্ত পূরণের জন্য প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে এই বন্ড ইস্যু করবে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক। অসুরক্ষিত, নন-কনভার্টেবল, সাবঅর্ডিনেটেড বন্ডটির মেয়াদ হবে সাত বছর। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এবং অন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর অনুমোদনক্রমে অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হওয়ার পর এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
৩১ ডিসেম্বর, ২০১৮ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য ১৫০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত হিসাববছরে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি আয় হয় ২১ টাকা এক পয়সা। শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়ায় ১১৫ টাকা ৪৩ পয়সায়। আর ওই সময় শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ২৫ টাকা ৩৪ পয়সা, যা আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ১২ টাকা ২৮ পয়সা, এনএভি ৯৭ টাকা ৪১ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ ছিল ৫৮ টাকা ৬৬ পয়সা।
এদিকে গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর শূন্য দশমিক ৮৮ শতাংশ বা ৬০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ৬৭ টাকা ৮০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৬৭ টাকা ২০ পয়সা। দিনজুড়ে এক লাখ তিন হাজার ৬৯৭টি শেয়ার মোট ৩৯৪ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৭০ লাখ আট হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৬৬ টাকা ৮০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৬৯ টাকা ২০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ৫৮ টাকা থেকে ২৩৭ টাকা ২০ পয়সায় ওঠানামা করে।
২০১৭ সালের ৩১ ডিসেস্বর পর্যন্ত সমাপ্ত হিসাববছরে নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের ৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১২ টাকা ২৮ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৯৭ টাকা ৪১ পয়সা। এর আগে ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরে ৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। ওই সময়ে ইপিএস হয়েছে আট টাকা ৮১ পয়সা ও এনএভি ৮৮ টাকা ৩০ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে ১৭৬ কোটি ২৬ লাখ টাকা, যা তার আগের বছর ছিল ৩০২ কোটি তিন লাখ টাকা।
২০০১ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ‘এ’ ক্যাটেগরির এ কোম্পানি। অনুমোদিত মূলধন এক হাজার ৫০০ কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ৫০০ কোটি টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ দুই হাজার ১০৭ কোটি ৪৯ লাখ টাকা।
কোম্পানিটির মোট ৫০ কোটি শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৮৬ দশমিক ৯৯ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক দুই দশমিক ২৯ শতাংশ, বিদেশি শূন্য দশমিক শূন্য দুই শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ১০ দশমিক ৭০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
