ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য অ্যাকশন ফ্রেমিং সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিবেদক: ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের সুবিধা দিতে বিজনেস ফাইন্যান্স ফর দ্য পুওর ইন বাংলাদেশ (বিএফপি-বি) আয়োজিত ‘অ্যাকশন-ফ্রেমিং কনফারেন্স: ক্ষুদ্র ব্যবসার জন্য অর্থবাজার রূপান্তরকরণ’ শীর্ষক সম্মেলন গতকাল রাজধানীর র‌্যাডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেন হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়। দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে চারটি অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। এসব অধিবেশনে বক্তারা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আর্থিক উন্নতির জন্য ডিজিটাল রূপান্তরকরণের বিষয়ে আলোচনা করেন। এছাড়া বাংলাদেশে ওমনি-চ্যানেল বিতরণ মডেল গ্রহণ, নীতি সংস্কার ও বেসরকারি খাতের বিনিয়োগকে আরও কার্যকর এবং বিনিয়োগের জন্য মিশ্র অর্থনৈতিক অবকাঠামো তৈরিসহ বাজারের সুবিধা প্রার্থীদের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হয়।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব আসাদুল ইসলাম, ডিএফআইডি’র ভারপ্রাপ্ত আবাসিক প্রতিনিধি জিম ম্যাকাল্পাইন ও লন্ডনের নাথান অ্যাসোসিয়েটসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইমন ক্যাসিডি।

শাহরিয়ার আলম বিভিন্ন ক্ষেত্রে আর্থিক বোধগম্যতা ও এর প্রয়োজনীয়তা বিষয়ে আলোচনা করেন। এ সময় তিনি আস্থা অর্জনের গুরুত্ব ও সামগ্রিক বাজারের অভ্যন্তরীণ চাহিদা বৃদ্ধির সঙ্গে এর সম্পর্ক নিয়ে কথা বলেন। এটি বেশিরভাগ গ্রামীণ অঞ্চলে বিকাশকে বাধা দেয় এমন তথ্যগত দূরত্ব পূরণ করার প্রক্রিয়াটিকে দ্রুত করেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ও বিএফপি-বি’র প্রকল্প প্রধান আহমেদ জামাল অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। স্বাগত বক্তব্যে তিনি বিগত দশকে ক্ষুদ্র উদ্যোগের ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব ইতিবাচক পরিবর্তন এবং এর প্রভাব নিয়ে কথা বলেন। যার ফলস্বরূপ এ বছর জিডিপির আট শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে বলে জানান তিনি।

এছাড়া বিএফপি-বি’র টিম লিডার ফয়সাল হুসেন ‘মুভিং দ্য নিডল অন ফিন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন’ উপস্থাপনা তুলে ধরেন। সে সঙ্গে তিনি বিগত বছরগুলোয় বিএফপি-বি’র সাফল্য ও কর্মসূচিটি বাস্তবায়নের সময় শেখা পাঠগুলো নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি নিয়ন্ত্রকদের জন্য নীতি সংস্কারে সহায়তা এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসার জন্য আর্থিক মডেলকে স্কেলিংয়ের জন্য বিনিয়োগকে ত্বরান্বিত করতে বিএফপি-বি’র ভূমিকার কথাও উল্লেখ করেন।

বিএফপি-বি একটি আড়াই কোটি পাউন্ডের আর্থিক খাত সংস্কার কর্মসূচি, যা ইউকে এইডের অর্থায়নে নাথান অ্যাসোসিয়েটস দ্বারা পরিচালিত। যারা মূলত বাংলাদেশ সরকার, সরকারের বিভিন্ন নিয়ন্ত্রক সংস্থা, বাণিজ্যিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও প্রযুক্তি সংস্থাগুলোর সঙ্গে কাজ করেছে। সে সঙ্গে আর্থিক সংস্কার খাতটি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের দ্রুত ব্যবসায়িক উন্নয়নের জন্য উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে। আড়াই কোটি পাউন্ড সমমানের বিশেষ এ কর্মসূচি শুরু হয়েছিল ২০১৫ সালে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০