জিম্বাবুয়ে-বাংলাদেশ ওয়ানডে সিরিজ

হোয়াইটওয়াশের স্বপ্ন দেখছেন তিন তরুণ

ক্রীড়া প্রতিবেদক: আগেই টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের প্রমাণ করেছেন আফিফ হোসেন ও মোহাম্মদ নাঈম শেখ। পুরস্কার হিসেবে এবার এ দুই তরুণ সুযোগ পেয়েছেন জাতীয় দলের ওয়ানডে স্কোয়াডে। এদিকে লম্বা সময় পর চোট কাটিয়ে ফিরেছেন অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। আসন্ন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এ তিন তরুণকেই একাদশে দেখা যেতে পারে। তার আগে গতকাল তারা জানিয়েছেন, সুযোগ পেলে সফরকারীদের হোয়াইটওয়াশ করতেই খেলব।

গত ৭ বছর যে কোনো কন্ডিশনে ওয়ানডেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হারেনি বাংলাদেশ। এবার ঘরের মাঠে তাই প্রতিপক্ষকে হারাতে আরও চাঙা টিম বাংলাদেশ, যা এরই মধ্যে ছুঁয়ে গেছে নাঈম শেখ, আফিফ হোসেন ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের মনে। গতকাল নিজেদের এ লক্ষ্যের কথা তারা জানিয়েছেন।

সাদা বলের ক্রিকেটে জিম্বাবুয়ে নিজেদের দিনে সেরা। তবে এ সুযোগ সফরকারীদের দিতে চান না নাঈম-আফিফ-সাইফ। এ তিন তরুণই চাইছেন নিজেদের সেরাটা দিয়েই প্রতিপক্ষে তিন ম্যাচে হারাতে।

সাইফউদ্দিন সবশেষ ওয়ানডে খেলেছেন গত বিশ্বকাপে। এরপর চোটে পড়ে ছিলেন দলের বাইরে। মাঝে অবশ্য নিজেকে ফিট মনে করে এ অলরাউন্ডার খেলেছিলেন একাধিক টি-টোয়েন্টি। তবে সেটা যে নিজের জন্য ভালো হয়নিÑফের চোটে পড়ে এ তরুণ বুঝেছেন। তবে অতীতে যা হয়েছে, সেগুলো আর মনে করতে চান না তিনি। তার চোখ এখন আগামীকাল থেকে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে। এ ব্যাপারে সাইফ বলেন, ‘পেশাদার ক্রিকেটারদের চোটে পড়া নিয়মিত ঘটনা। ব্যাপারটি নিয়ে তাই ভাবছি না। আমার চোখ এখন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে। কদিন আগেই ওদের আমরা টেস্টে হারিয়েছি। আশা করি সে ধারাবাহিকতা ওয়ানডেতে ধরে রেখে হোয়াইটওয়াশ করব।’

এদিকে প্রথমবার ওয়ানডে স্কোয়াডে সুযোগ পেয়ে রোমাঞ্চিত আফিফ। তিনি চাইছেন, সুযোগ পেলে যে কোনো পজিশনে ব্যাট হাতে নিজেদের সেরাটা দিতে, ‘অনেক দিন ধরেই রোমাঞ্চ অনুভব করছিলাম। টি-টোয়েন্টি খেলেছি, ওয়ানডেতে কবে ডাক পাব। এবার আশা পূরণ হয়েছে। সুযোগ পেলে চেষ্টা করব নিজের সেরাটা দেওয়ার। শুধু তা-ই নয়, প্রতিপক্ষকে তিন ম্যাচে হারানোর লক্ষ্য থাকবে।’

আফিফের সঙ্গে এবারই জাতীয় দলের ওয়ানডে স্কোয়াডে ডাক পেয়েছেন নাঈম শেখ। তবে ব্যাপারটি তিনি নাকি কদিন আগেই বিসিবি থেকে জানতে পেরেছিলেন। তাই ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ রাঙানোর প্রস্তুতি নিয়েছেন। এখন সেটা মাঠের ক্রিকেটে দেখানোর পালা। শেষ পর্যন্ত যদি এ তরুণ সুযোগ পান, তবে সফরকারীদের হোয়াইটওয়াশের তিক্ত স্বাদ দিতে চান। এ ব্যাপারে গতকাল মিরপুর একাডেমির সামনে নাঈম বলেন, ‘আমি সব সময় সাদা বলে খেলতেই বেশি পছন্দ করি। এজন্য এ বল নিয়ে বেশি কাজ করি। যাহোক, এবার আমার ওয়ানডে দলে জায়গা পাওয়ার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। যদি মূল ম্যাচের একাদশে সুযোগ পাই, তবে চেষ্টা করব নিজের সর্বোচ্চটা দেওয়ার। সেটা যদি পারি, তবে সফরকারীদের হোয়াইটওয়াশের তেতো স্বাদ দেওয়াটা কঠিন হবে না।’

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ ওয়ানডে খেলেছে ৭২টি। এর মধ্যে ৪৪টিতে জিতেছে টাইগাররা। হেরেছে ২৮টি। শেষ ৭ বছরে জিম্বাবুয়ের কাছে অবশ্য কোনো ওয়ানডে হারেনি বাংলাদেশ। এ সময় ১৩ ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। প্রত্যেকটিতেই জয় লাল-সবুজ জার্সিধারীদের। এবার সেখানে আরও তিনটি জয় যুক্ত করতে চাইছেন মাশরাফি-তামিমরা। তাদের সে আশার সঙ্গে এবার আফিফ-সাইফ-নাঈমরা যোগ করলেন হোয়াইটওয়াশের লক্ষ্যটা। এর আগে অবশ্য গত পরশু একই লক্ষ্যের কথা জানিয়েছিলেন পেসার আল আমিন হোসেনও।

যে যা-ই বলুক না কেন, সাদা বলের ক্রিকেটে কিন্তু জিম্বাবুয়ে যে কোনো কন্ডিশনে দারুণ প্রতিপক্ষ। ব্যাপারটি কিন্তু জানেন মাশরাফিরা। তাই নিজেদের লক্ষ্যটা মনের মধ্যে পুশে রেখে তারা নিশ্চয়ই চাইবেন মাঠের ক্রিকেটে মনোযোগী হতে। সেখানে সেরাটা দিলেই এমনিতেই লক্ষ্য পূরণ হয়ে যাবে। 

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০