নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশে ডিজিটাল পণ্য ও সেবার ব্যবসা ক্রমেই বড় হচ্ছে। সে বাজার ধরতে নিজেদের পরিধি বাড়িয়ে চলছে সিসকো। এজন্য বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠানটির কর্মী সংখ্যা আগের চেয়ে দ্বিগুণ করেছে।
গত বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে এমনটি জানালেন সিসকোর কর্মকর্তারা। রাজধানীর এক অভিজাত হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুধীর নায়ার বলেন, জাপান, চীন ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে দ্রুত ডিজিটালাইজড হওয়া দেশের তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশ। ইন্টারনেট, স্মার্টফোনের নানা ধরনের ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ায় ডিজিটাল অর্থনীতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ডিজিটাল অগ্রগতিকে দ্বিগুণ করার উপযুক্ত সময় হয়েছে।
জানা গেছে, তথ্যপ্রযুক্তির সেবা দাতা মার্কিন প্রতিষ্ঠান হচ্ছে প্রতিষ্ঠান সিসকো। প্রতিষ্ঠানটি যুক্তরাষ্ট্রের পুঁজিবাজার নাসডাকে তালিকাভুক্ত। গত দুই দশক ধরে বাংলাদেশে কাজ করছে তারা। সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংক, বিমা ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে প্রযুক্তি সেবা দিয়ে থাকে।
সিসকো’র সার্ক এবং বাংলাদেশি কর্মকর্তারা জানান, কর্মী সংখ্যা এবং অফিস পরিধি দ্বিগুণ করার মাধ্যমে এ অঞ্চলে সিসকোর অপারেশন বাড়ানো হচ্ছে। আর পৃথক একটি ডিপো খোলা হয়েছে বাংলাদেশি গ্রাহকদের আরও ভালো সেবা দেওয়ার জন্য। বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) তথ্যর বরাত দিয়ে জানানো হয়, ২০১৮ সালে বাংলাদেশ আইসিটি পণ্য রপ্তানি করে এক বিলিয়ন ডলার আয় করেছে। ২০২১ সাল নাগাদ এটি পাঁচ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হবে। এ পরিবর্তনের সহযোগী হিসেবে সিসকো দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ১৫টি নেটওয়ার্কিং একাডেমি চালু করেছে। এগুলোতে ইতোমধ্যে ৩৮ হাজার শিক্ষার্থী প্রশিক্ষণ নিয়েছে। ২০২০ সাল নাগাদ এটি ৫০ হাজারে দাঁড়াবে।