সাপ্তাহিক লেনদেনের ৩.৭৫% গ্রামীণফোনের

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে লেনদেনের শীর্ষে উঠে আসে তথ্য ও প্রযুক্তি খাতের কোম্পানি গ্রামীণফোন লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ৩৮ লাখ ২৫ হাজার ৪২টি শেয়ার ১১৫ কোটি ৬৬ লাখ ৫৭ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের তিন দশমিক ৭৫ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর সাত দশমিক ১৭ শতাংশ কমেছে।

এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে এ কোম্পানির শেয়ারদর চার দশমিক ২০ শতাংশ বা ১২ টাকা ১০ পয়সা কমে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ২৭৬ টাকায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ২৭৪ টাকা ৪০ পয়সা। দিনজুড়ে চার লাখ তিন হাজার ৭০টি শেয়ার দুই হাজার ৩২৩ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ১১ কোটি ২৫ লাখ ৮৫ হাজার টাকা। শেয়ারদর সর্বনি¤œ ২৭১ টাকা ২০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ২৮৮ টাকা ২০ পয়সায় ওঠানামা করে। গত এক বছরে শেয়ারদর ২২৯ টাকা থেকে ৪১৯ টাকা ৭০ পয়সায় ওঠানামা করে।

গ্রামীণফোন লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ সর্বশেষ ৪০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এর আগে ৯০ শতাংশ অন্তর্বর্তীকালীন নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। অর্থাৎ কোম্পানিটি ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য সর্বমোট ১৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিচ্ছে। তথ্যমতে, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটি কর-পরবর্তী মুনাফার ৫০ দশমিক ৮৬ শতাংশ লভ্যাংশ দিচ্ছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২৫ টাকা ৫৬ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২৮ টাকা ৪০ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৪২ টাকা ৫০ পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য আগামী ২১ এপ্রিল সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার (আইসিসিবি) গুলনকশা হলে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে।

এর আগের বছর অর্থাৎ ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৮ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য মোট ২৮০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করে কোম্পানিটি। ২০১৮ সালের সমাপ্ত হিসাববছরে গ্রামীণফোনের শেয়ারপ্রতি আয় হয় ২৬ টাকা শূন্য চার পয়সা। শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়ায় ৩১ টাকা ৩৮ পয়সায়, যা আগের বছর একই সময়ে হয়েছিল ২০ টাকা ৩১ পয়সা ও ২৬ টাকা শূন্য এক পয়সা।

কোম্পানিটি ২০০৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করেছে। চার হাজার কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন এক হাজার ৩৫০ কোটি ৩০ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ দুই হাজার ১২৩ কোটি ২৬ লাখ ৩১ হাজার টাকা। কোম্পানিটির ১৩৫ কোটি তিন লাখ ২২টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকের কাছে রয়েছে ৯০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী চার দশমিক শূন্য পাঁচ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের তিন দশমিক ৮১ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে দুই দশমিক ১৪ শতাংশ শেয়ার।

সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য আয় (পিই) অনুপাত ১০ দশমিক ৫৪ এবং হালনাগাদ অনিরীক্ষিত ইপিএসের ভিত্তিতে ১০ দশমিক ৭৪।

আর লেনদেনের দ্বিতীয় শীর্ষ অবস্থানে ছিল ভিএফএস থ্রেড ডায়িং লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির তিন কোটি ১৮ লাখ ৭৯ হাজার ২০৯টি শেয়ার ৯০ কোটি ৬৭ লাখ ৪১ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের দুই দশমিক ৯৪ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর ২৩ দশমিক শূন্য আট শতাংশ বেড়েছে।

এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর দুই দশমিক ৬৮ শতাংশ বা ৮০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ৩০ টাকা ৬০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৩০ টাকা ৪০ পয়সা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ২৯ টাকা ৫০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৩০ টাকা ৭০ পয়সায় ওঠানামা করে। ওইদিন ৫৫ লাখ ২০ হাজার ১৭৬টি শেয়ার মোট দুই হাজার ৬৩৯ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ১৬ কোটি ৬৭ লাখ ৮৬ হাজার টাকা। এক বছরের মধ্যে শেয়ারদর ১৫ টাকা ৩০ পয়সা থেকে ৬৩ টাকায় ওঠানামা করে।

বস্ত্র খাতের কোম্পানি ভিএফএস থ্রেড ডায়িং লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন ২০১৯ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য ছয় শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে দুই টাকা ১৫ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৮ টাকা ৬৮ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৪০ পয়সা।

এর আগে ৩০ জুন, ২০১৮ সমাপ্ত অর্থবছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য কোম্পানিটি ছয় শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা দেয়। সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে দুই টাকা ২৮ পয়সা। এর আগের বছর একই সময় যা ছিল দুই টাকা ২৫ পয়সা। এছাড়া শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহের পরিমাণ (এনওসিএফ) ছিল দুই টাকা ৭৭ পয়সা এবং আর শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়ায় ২২ টাকা ১৮ পয়সা।

কোম্পানিটি ২০১৮ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে অবস্থান করছে। ১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১০২ কোটি ৫০ লাখ ৫০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৭১ কোটি ৬০ লাখ ৭০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির ১০ কোটি ২৫ লাখ চার হাজার ৯০৮টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসই থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৩০ দশমিক ৮৮ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক সাত দশমিক ৪১ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের ১৮ দশমিক ৩০ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৪৩ দশমিক ৪১ শতাংশ শেয়ার। সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য আয় (পিই) অনুপাত ১৪ দশমিক ১৪ এবং হালনাগাদ অনিরীক্ষিত ইপিএসের ভিত্তিতে ১৪ দশমিক ৬২।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০