খুলনার শহীদ হাদিস পার্কে আধুনিক গণশৌচাগার উদ্বোধন করা হয়েছে। খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) ও ইউনিলিভারের সহায়তায় এ গণশৌচাগার নির্মাণ করেছে ব্র্যাকের আরবান ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম।
প্রতিবন্ধীদের ব্যবহারোপযোগী এ শৌচাগারে সার্বক্ষণিক হরিজন সম্প্র্রদায়ের দুই পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিয়োজিত থাকছেন। ন্যূনতম ব্যয়ে এটি ব্যবহার করা যাবে। এছাড়া নিরাপদ খাবার পানি, মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানোর স্থানসহ শিশুদের ডায়াপার, নারীদের স্যানিটারি ন্যাপকিন ও লকার ব্যবহারের সুবিধা রয়েছে। এটি পরিচালনা করছে খুলনা নগর উন্নয়ন মহিলা সমবায় সমিতি। প্রসঙ্গত, খুলনা শহরের ৮০ হাজার স্বল্প আয়ের মানুষের সংগঠন এ সমিতি।
২৪ ফেব্রুয়ারি এ টয়লেটের উদ্বোধন করেন খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক, ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ এবং ইউনিলিভার বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক কেদার লেলে। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাক আরবান ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের পরিচালক লিয়াকত আলীসহ কেসিসি, ব্র্যাক, ইউনিলিভার ও খুলনা শহরে কর্মরত নানা সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
আরও ছিলেন কয়েকজন সাংবাদিক ও নগর গবেষক।
প্রধান অতিথি কেসিসি মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক বলেন, এ পাবলিক টয়লেটটির নির্মাণ সরকারি-বেসরকারি-কমিউনিটি পার্টনারশিপের একটি উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। টয়লেটটির পরিবেশ, পরিচ্ছন্নতা ও নিরাপত্তার দিকে খেয়াল রাখতে হবে। ভবিষ্যতে নগরীতে এমন আরও আধুনিক টয়লেট নির্মাণের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ বলেন, দরিদ্র ও সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে নারী ও শিশুদের জন্য নিরাপদ স্যানিটেশনের সুবিধা বাংলাদেশের নগর অঞ্চলে নেই বললেই চলে। আমাদের এ উদ্যোগ সে সমস্যা নিরসনের প্রাথমিক পদক্ষেপ। নগরের দরিদ্র মানুষের সুস্বাস্থ্যের জন্য টেকসই সমাধান হাজির করতে পেরেছি আমরা।
ইউনিলিভার বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক কেদার লেলে বলেন, স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন সুবিধা মানুষের মৌলিক অধিকার। কিন্তু সব মানুষের সে সুযোগ নেই। এ পাবলিক টয়লেটে নানা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে শুধু স্যানিটেশন সুবিধা দেওয়ার জন্যই নয়, বরং সাধারণ মানুষের মধ্যে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভ্যাস গড়ে তুলতে সহায়তা করাও আমাদের লক্ষ্য। আমরা বিশ্বাস করি, শুধু স্যানিটেশন সুবিধা দিলেই হবে না, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভ্যাসও গড়ে তোলা জরুরি। ইউনিলিভার উপযুক্ত ও পর্যাপ্ত স্যানিটেশন সুবিধা প্রাপ্তিতে বিশ্বাসী। সে লক্ষ্যে এ পাবলিক টয়লেটটি একটি প্রথম পদক্ষেপ।
প্রসঙ্গত, ব্র্যাক ও ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেডের মধ্যে সমঝোতা চুক্তির আওতায় এ পাবলিক টয়লেট নির্মাণ করা হয়েছে। সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের আওতায় এ টয়লেটের জায়গা দিয়েছে সিটি করপোরেশন। এর তদারকির দায়িত্বেও থাকবে তারা। ব্র্যাক জানিয়েছে, এটি একটি পাইলট প্রজেক্ট। পর্যায়ক্রমে দেশের অন্যান্য এলাকায়ও এমন মানসম্মত টয়লেট নির্মাণ করা হবে।
