নিজস্ব প্রতিবেদক: গত ৩০ জুন ২০১৯ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য ঘোষিত নগদ লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের ব্যাংক হিসাবে পাঠিয়েছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের কোম্পানি যমুনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেড। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি ১৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়ার ঘোষণা করে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ। আলোচিত সময়ে ইপিএস হয়েছে ২১ টাকা ১৯ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি এনএভি দাঁড়িয়েছে ১৬৭ টাকা ৬১ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৯২ টাকা এক পয়সা (লোকসান)।
এদিকে গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারদর শূন্য দশমিক ৯৫ শতাংশ বা এক টাকা ৪০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ১৪৮ টাকায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ১৪৬ টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ১৪৫ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১৪৮ টাকায় হাতবদল হয়। দিনজুড়ে কোম্পানিটির ২০ হাজার ৪০৬টি শেয়ার মোট ১২৪ বার হাতবদল হয়। যার বাজারদর ২৯ লাখ ৭৯ হাজার টাকা। গত এক বছরে কোম্পানির শেয়ারদর ১৩৩ টাকা থেকে ১৯৩ টাকা ৯০ পয়সায় ওঠানামা করে।
এর আগে কোম্পানিটি ২০১৮ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরেও বিনিয়োগকারীদের ১৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। ওই বছর কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছিল ২৫ টাকা ৪৫ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) ছিল ১৭০ টাকা ৩৪ পয়সা। আর মুনাফা হয়েছিল ২৮১ কোটি সাত লাখ ৪০ হাজার টাকা।
কোম্পানিটি ২০০৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ৩০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১১০ কোটি ৪২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ এক হাজার ৭৭৩ কোটি ২৮ লাখ ৮১ হাজার টাকা। কোম্পানিটির ১১ কোটি চার লাখ ২৪ হাজার ৬০০ শেয়ার রয়েছে। ডিএসই থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে সরকারি ৬০ দশমিক শূন্য আট শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক ২৬ দশমিক ৭১ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে এক দশমিক ৪৬ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ১১ দশমিক ৭৫ শতাংশ শেয়ার।