ওয়ানডে মিশনে ডাম্বুলায় মাশরাফি-মুশফিকরা

ক্রীড়া প্রতিবেদক: শততম টেস্ট জয়ের রেশ এখনও পুরোপুরি কাটেনি। এর মধ্যেই আগামীকাল তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে মাঠে নামতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। এ ম্যাচে টাইগারদের ভেন্যু ডাম্বুলা। গতকাল সকালে কলম্বো থেকে মাশরাফি বিন মুর্তজা-মুশফিকরা পা রেখেছেন সেখানে। আজ দুপুরে রয়েছে সফরকারীদের অনুশীলন। এরই মধ্যে ছুটি শেষে সতীর্থদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবাল।

শ্রীলঙ্কায় বাংলাদেশের শতভাগ হারের নজির রয়েছে রনগিরি ডাম্বুলা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়াম। সেই মাঠে এবার ভালো কিছুর স্বপ্ন নিয়ে নামছে মাশরাফি বিন মুর্তজার দল। ওয়ানডে সিরিজের আগে একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচে দারুণ খেলেছিল বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কা বোর্ড সভাপতি একাদশের ৩৫৪ রানের জবাবে টাইগাররা হেরেছিল মাত্র ২ রানে। এরপরও আত্মবিশ্বাসে বলীয়ান সফরকারীরা। কেননা ওই ম্যাচে দলের তিন তারকা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল ও মোস্তাফিজুর রহমান ছিলেন না। এবার কিন্তু পূর্ণ শক্তির দল নিয়েই স্বাগতিকদের বিপক্ষে নামবে সফরকারীরা।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২০১৩ সালে সর্বশেষ ওয়ানডে জিতেছিল বাংলাদেশ। এরপর দ্বীপদেশটির কাছে টানা পাঁচ ওয়ানডেতে হেরেছে হাথুরুসিংহের শিষ্যরা। এদিকে ২০১০ সালে ডাম্বুলায় এশিয়া কাপে ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিনটি ম্যাচ খেলেছিল বাংলাদেশ। তবে সব ম্যাচেই হারের স্বাদ পায় টাইগাররা। তাই অতীত ইতিহাস ভুলে এবার মাঠে নামবে মাশরাফিবাহিনী। নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারলে সেটা অসম্ভবও নয়, যা গত পরশুও সংবাদমাধ্যমকে বলেছিলেন সাব্বির রহমান। প্রস্তুতি ম্যাচে আমাদের ব্যাটসম্যানরা ভালো খেলেছেন। আশা করি, এ ধারাবাহিকতা ওয়ানডে সিরিজে অব্যাহত থাকবে। আমরা যদি আমাদের সেরাটা দিতে পারি, তাহলে এখানে জয় পাওয়া অসম্ভব নয়।’

প্রস্তুতি ম্যাচে হারলেও ওয়ানডে সিরিজের আগে এই ম্যাচ থেকে নেওয়ার আছে অনেক কিছু। পরশু ম্যাচ শেষে যেমনটা বলেছিলেন মাশরাফি, ‘আমরা আমাদের মেইন ব্যাটসম্যানদের ছাড়াই প্রায় জিতে যাচ্ছিলাম। সাকিব-তামিম থাকলে দেখা যেতো। এ ধরনের উইকেটে ব্যাটিং করা সহজ। এমন উইকেট হলে যে কোনো মাঠে তিনশ রান চেজ করা সম্ভব।’

শ্রীলঙ্কার উইকেট সবসময় ব্যাটসম্যানদের অনুকূলে থাকে। টেস্ট সিরিজেও তা-ই দেখা গেছে। আশা করা হচ্ছে, ওয়ানডে সিরিজেও একই হবে। যে কারণে এখানে আগে ব্যাট করলে বড় স্কোর গড়তে হবে। আর পরে ব্যাট করলে বড় স্কোর চেজ করতে হবে। এটা ভালো করেই জানা বাংলাদেশ দলের। তাই তো প্রতিপক্ষের সঙ্গে ওয়ানডে সিরিজ জিততে ব্যাটসম্যানদের সেরাটা দেওয়ার বিকল্প নেই।

প্রায় দুই মাস ওয়ানডে খেলা হয়নি বাংলাদেশের। তারপরও এটা দলের মধ্যে কোনো প্রভাব ফেলবে না বলে বিশ্বাস করেন মাশরাফি। কেননা সবাই খেলার মধ্যেই ছিল। বেশিরভাগ ব্যাটসম্যানরা রয়েছেন ফর্মের তুঙ্গে। সৌম্য সরকার, তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, সাব্বির রহমান, মোসাদ্দেক হোসেন টেস্ট সিরিজে দেখিয়েছেন নিজেদের ব্যাটিং ঝলক। প্রস্তুতি ম্যাচে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও অধিনায়ক মাশরাফির ব্যাটেও দেখা গেছে বিধ্বংসী রূপ। অন্যদিকে কলম্বো টেস্টে বোলিংয়ে স্বরূপে ফিরতে দেখা গেছে মোস্তাফিজুর রহমানকে। টেস্ট সিরিজে ভালো বোলিং করেছেন সাকিব আল হাসান, যা পুরো দলকে ওয়ানডেতে ভালো খেলতে দারুণ আত্মবশ্বাসী করে তুলেছে। এখন দেখার বিষয়, ‘অপয়া’ ডাম্বুলায় জ্বলে উঠতে পারেন কি না মাশরাফিরা?

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০