শোবিজ ডেস্ক: বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার হচ্ছে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। প্রতিবারের মতো এবারও ২০১৯ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জন্য চলচ্চিত্র আহ্বান করেছে তথ্য মন্ত্রণালয়। আগ্রহীদের উন্নত মানের প্রিন্টের ডিভিডি জমা দিতে হবে। তার আগে চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের ওয়েবসাইট থেকে আবেদনপত্র সংগ্রহ করতে হবে। তথ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়, প্রায় ২৮ বিভাগে পুরস্কার দেওয়া হবে। তবে এক্ষেত্রে কিছু শর্ত রয়েছে:
#কেবল বাংলাদেশি নাগরিকরাই এ পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবেন
#আজীবন সম্মাননার জন্য জীবিতদের বিবেচনা করা হবে
#যৌথ প্রযোজনার চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে কোনো বিদেশি শিল্পী-কলাকুশলী এ পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবেন না
#পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমার জন্য অবশ্যই সেন্সর বোর্ডের সনদ পেতে হবে এবং বিবেচ্য বছরে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি দিতে হবে। আর স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্যচিত্রের ক্ষেত্রেও সেন্সর বোর্ডের সনদ পেতে হবে
#দেশি-বিদেশি লেখক বা প্রকাশকের কপিরাইট অনুমতি নিয়ে নির্মিত সিনেমা পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবে। তবে বিদেশি চলচ্চিত্রের কপিরাইট নিয়ে নির্মিত সিনেমা ও রিমেক সিনেমার কাহিনি পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবে না। উল্লেখ্য, ১৯৭৫ সাল থেকে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার দেওয়া হয়। বাংলাদেশ সরকার চলচ্চিত্রশিল্পের বিকাশ ও উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য ব্যক্তিবিশেষ, শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র ও প্রামাণ্যচিত্রে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার দিয়ে থাকে। আর ২০০৯ সালে প্রথম আজীবন সম্মাননা পুরস্কার চালু করা হয়। পুরস্কার হিসেবে ১৮ ক্যারেটের ১৫ গ্রাম স্বর্ণের একটি পদক, পদকের একটি রেপ্লিকা, একটি সম্মাননাপত্র ও এক লাখ টাকা দেওয়া হয়।
