প্রতিনিধি, রাজশাহী : উন্নয়নমূলক কাজ করার জন্য সরকার উম্মুখ হয়ে আছে বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি বলেন, আমাদের অর্থের যোগান আছে। যে সমস্যাটুকু রয়েছে তা ব্যবস্থাপনার। এখানে আমাদের এখনও অনেক কিছু করার আছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজশাহী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জনশুমারি ও গৃহগণনা-২০২১ বিষয়ক বিভাগীয় মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, রাজশাহীর অনেক ঐতিহ্য রয়েছে। এ ঐতিহ্য আরও সুদৃঢ় করার জন্য আমরা বদ্ধপরিকর। সম্প্রতি একনেকে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা রাজশাহীর উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, জনসম্পদ দেশের একটি বড় সম্পদ। দেশের উন্নয়নের স্বার্থে একটি সঠিক জনশুমারি প্রয়োজন। ঐতিহ্য অনুযায়ী প্রতি ১০ বছর পরপর একটি জনশুমারি করা হয়। আমাদের মধ্যে এমন প্রযুক্তি আসছে; যার ফলে ভবিষ্যতে শুমারি অতি সহজ হবে। আসন্ন শুমারিতে যারা মাঠ পর্যায়ে কর্মী হিসেবে কাজ করবে তাদের সম্মানী চারগুণ করা হয়েছে। আশা করি, সবার সহযোগিতায় ২০২১ সালের জনশুমারির কাজ করা সম্ভব হবে।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সচিব সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলেন, ২০২১ সালের ষষ্ঠ জনশুমারি ও গৃহগণনা আগামী ২ থেকে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত পরিচালিত হবে। জনশুমারি ও গৃহগণনা উপলক্ষে জনশুমারি সপ্তাহ পালিত হবে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী অর্থাৎ আগামী ১৭ মার্চ থেকে শুমারির ক্ষণগণনা শুরু হবে। শুমারি শুরুর প্রাক্কালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন বলে সম্মতি দিয়েছেন।
তিনি বলেন, প্রথমবারের মতো মূল শুমারির আগে লিস্টিং অপারেশন পরিকল্পনা করা হবে। লিস্টিং অপারেশনের সময় প্রতিটি খানার জন্য একটি ইউনিক হাউসহোল্ড আইডি দেওয়া হবে।
‘জনশুমারি ও গৃহগণনা-২০২১’ প্রকল্পের পরিচালক মো. জাহিদুল হক অনুষ্ঠানে পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনের মাধ্যমে জনশুমারি ২০২১ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন। রাজশাহী বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার হুমায়ুন কবির খোন্দকার এতে সভাপতিত্ব করেন।
অনুষ্ঠানে রাজশাহী-২ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা, রাজশাহী-৫ আসনের সংসদ সদস্য মনসুর রহমান, বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার আবদুল মান্নান, জেলা প্রশাসক মো. হামিদুল হকসহ রাজশাহীর বিভিন্ন সরকারি দপ্তর ও সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বিভাগের অন্য জেলাগুলোর জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।