করোনা নিয়ে সবাইকে সচেতন হতে হবে:মির্জা ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক: করোনা সম্পর্কে সচেতনতার তাগিদ দিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘করোনা সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। আমাদের এ দেশ অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ। এ এলাকায় এটা যে কোনো সময় ছড়িয়ে পড়তে পারে। আমাদের সবাইকে এ বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে।’

গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (একাংশ) দ্বিবার্ষিক সাধারণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশের মানুষ সাংবাদিকদের সবসময় শ্রদ্ধার চোখে দেখে। আজ অনেক সাংবাদিক বলছেন, ‘আমাদের কী সাংবাদিকতা ছেড়ে দিতে হবে? যারা সাংবাদিক হিসেবে ক্যারিয়ার গড়ার চেষ্টা করেছেন তারা মনে হয় ভুল করেছেন।  কারণ এখানে আর্থিক নিরাপত্তা নেই। সর্বোপরি লেখা ছাপার পর মামলা হবে না, গুম হয়ে যেতে হবে না, তার নিশ্চয়তা নেই।’

তিনি বলেন, ‘যুগে যুগে যারা মুক্তি, স্বাধীনতার লড়াই, সংগ্রামের কথা বলেছেন তাদের নিয়মিত নির্যাতনের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। এরপর কিছুদিন সুবাতাস বইলেও আবার সেই অবস্থার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের আগে ও পরে অনেক বরেণ্য সাংবাদিকদের লেখা আমরা দেখেছি, তারা অনেক সত্য কথা লিখেছেন। সংবাদপত্র এখন সাংবাদিকদের হাতে নেই, চলে গেছে ব্যবসায়ীদের হাতে। তারপরও আপনাদের মাধ্যমেই আমরা জেনেছি কীভাবে সিটি করপোরেশন নির্বাচন হয়েছে, ব্যাংক লুট হয়েছে, সম্পদ লুট করে বিদেশে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমান অবস্থায় অত্যন্ত ধৈর্যের সঙ্গে গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগোতে হবে। জনগণ ঐক্যবদ্ধ হয়েছেÑএ সরকার যারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে আসেনি তাদের সরিয়ে দেওয়ার জন্য। তাই সময় এসেছে উঠে দাঁড়াবার, আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে রক্ষা করবার, গণতন্ত্রকে রক্ষা করবার, এটিই উপযুক্ত সময়।’

তিনি বলেন, পৃথিবীর দিকে তাকালে গত এক দশকে গোটা পৃথিবীতে কর্তৃত্ববাদী সরকার এসেছে। এর ফলে গণতান্ত্রিক পরিবেশ আমরা হারিয়ে ফেলেছি। এ অবস্থায় অত্যন্ত ধৈর্যের সঙ্গে গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে এগিয়ে যেতে হবে। সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগোতে হবে। জনগণ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। এ সরকার যারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে আসেনি তাদের সরিয়ে দেওয়ার জন্য। তাই সময় এসেছে উঠে দাঁড়াবার, আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজš§কে রক্ষা করবার, গণতন্ত্রকে রক্ষা করবার, এটিই আমাদের উপযুক্ত সময়। জনগণের লড়াই সংগ্রামে সাংবাদিকরা সবসময় সামনের কাতারে ছিলেন। আমরা তাদের দেখে অনুপ্রাণিত হয়। এখানে বলা হয়েছে ৩৮ জন সাংবাদিক গুম হয়েছেন। চাকরির নিশ্চয়তা নেই। সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের বিচার বছরের পর বছর ঝুলে আছে। বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে ছাঁটাই হচ্ছে। সাংবাদিকরা কাজ করতে পারছেন না। অথচ দেখছি দু-একজন সাংবাদিক নেতা বহু উপরে উঠে গেছেন। এটাই বাস্তবতা।

বিষয় ➧

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০