উপনির্বাচন ও চসিক নির্বাচন পরিস্থিতি আরও কদিন দেখতে চান সিইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক : নভেল করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কের মধ্যে জনসমাগম হয় এমন প্রায় সব অনুষ্ঠান স্থগিত করা হলেও আসন্ন কয়েকটি নির্বাচনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আরও কয়েকদিন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে চান প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদা।

গতকাল নির্বাচন ভবনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেন তিনি। সিইসি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমরা নির্বাচন বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিইনি। করোনাভাইরাস কতখানি প্রভাব ফেলবে, সেটা আমরা বিশ্লেষণ করতে চাচ্ছি। তবুও আমরা আরও এক-দুইটা দিন দেখব। তখন সবগুলো নির্বাচনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।’

আগামী ২১ মার্চ ঢাকা-১০, গাইবান্ধা-৩ ও বাগেরহাট-৪ সংসদীয় আসনের উপনির্বাচন হবে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচন হবে ২৯ মার্চ। ভোটের মাত্র কয়েকদিন বাকি থাকায় ঢাকার উপনির্বাচন করে ফেলতে চায় নির্বাচন কমিশন। তবে পরিস্থিতি খারাপ হলে ভিন্ন চিন্তাও সিইসি রাখছেন। এক প্রশ্নের জবাবে কেএম নূরুল হুদা বলেন, ‘২১ মার্চের নির্বাচন করার চিন্তা আছে এখনও। যদি পরিস্থিতি একেবারেই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, তখন অবশ্যই আমরা বিবেচনা করব। কিন্তু এখন পর্যন্ত আমরা চাচ্ছি, নির্বাচনটা হয়ে যাক।’

ভোটের প্রচারে সতর্কতার কথা তুলে ধরে সিইসি বলেন, ‘নির্বাচনের প্রস্তুতি তো শেষের দিকে। প্রার্থীরা বলেছেন, তারা সাবধানে নির্বাচনী প্রচারণা করছেন। কিন্তু নির্বাচন যেন বন্ধ না হয়ে যায়। তাদের অনুরোধও আছে। আমরা বলেছি, তারা যেন জনসমাগমের বিষয়টা এড়িয়ে চলেন। যেন বিকল্পভাবে তারা ভোটারদের কাছে ভোট চান জনসমাগম না করে।’

২৯ মার্চের চট্টগ্রাম সিটি ভোটের বিষয়ে তিনি বলেন, “এখনও বিবেচনা করা হয়নি’ এটা নিয়েও আমরা চিন্তা করব। পরিস্থিতি আরেকটু দেখি।”

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০