ক্রীড়া ডেস্ক : আগামী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত আপাতত স্থগিত হয়ে গেছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ১৩তম আসর। এরপরই করোনাভাইরাসের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করেই এ টুর্নামেন্ট মাঠে গড়ানোর সিদ্ধান্ত নেবে বিসিসিআই। কিন্তু এখনও কোনো আশার কথা বোর্ড শোনাতে পারেনি। খেলা হলেও, তা ফাঁকা স্টেডিয়ামে হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। এ পরিস্থিতিতে বিপুল আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে চলেছে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। কিন্তু তা মেনে নিয়েও করোনা রুখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার পক্ষেই তারা।
করোনাভাইরাসের কারণে গত পরশুই রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু নিজেদের ট্রেনিং ক্যাম্প বাতিল করেছে। শুধু তা-ই নয় ক্রিকেটারদেরও বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। এর আগে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স, চেন্নাই সুপার কিংস এবং কলকাতা নাইট রাইডার্সও একই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফ্র্যাঞ্জাইজির কর্তারা এক প্রকার ধরেই নিয়েছেন, এ বছর আইপিএল হচ্ছে না। বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতি হবে জেনেও জনস্বার্থে সেই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে রাজি তারা।
এবার আইপিএল না হলে ফ্র্যাঞ্জাইজিদের ক্ষতি হবে অন্তত ১৫-২০ কোটি টাকা। এমনটাই সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন এক ফ্র্যাঞ্চাইজির কর্তা, ‘আমাদের অন্তত ১৫-২০ কোটি টাকা লোকসান হবেই। শুধু ক্রিকেটারদের বেতন এবং অন্য কর্মীদের বেতন বাবদই এ লোকসান হবে। এছাড়াও স্পনসরশিপের টাকা বাবদ আরও অনেক টাকাই লোকসান হবে। কিন্তু আমরা বুঝতে পারছি মানুষের সুরক্ষা থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ কিছু নয়।’ এদিকে বোর্ড সূত্রের খবর, আইপিএল আয়োজন করা নিয়ে বোর্ড কর্তাদের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা করছেন ফ্র্যাঞ্চাইজি কর্তারা। যদি বিদেশি ক্রিকেটাররা খেলার অনুমতি না পান, সেক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, সেটা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
এদিকে গতকাল থেকে মুম্বাইয়ে অবস্থিত বিসিসিআইয়ের সদর দপ্তর বন্ধ হয়ে গেছে। কর্মীরা কাজ করবেন বাড়ি থেকে। যে করোনার জেরে আইপিএল বাতিল হয়েছে, সেই করোনার জেরেই এবার বোর্ডের কাজকর্মও বন্ধ হচ্ছে। অনির্দিষ্টকালের জন্য এভাবেই কাজ হবে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার পরই ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের অফিস খুলবে। হয়তো এরপরই আসবে আইপিএল মাঠে গড়ানোর সিদ্ধান্ত। তার আগে কিন্তু এ টুর্নামেন্ট বাতিল হওয়ার বড় শঙ্কাই রয়েছে।