উৎপাদন বাড়াতে ২১ কোটি টাকার যন্ত্রপাতি কিনবে ইভিন্স টেক্সটাইল

নিজস্ব প্রতিবেদক: নতুন ব্র্যান্ডের মূলধনি যন্ত্রপাতি কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি ইভিন্স টেক্সটাইল লিমিটেড পরিচালনা পর্ষদ। কোম্পানিটি ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য ২১ কোটি ২৮ লাখ ৮৪ হাজার টাকার মেশিনারিজ কিনবে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, কোম্পানির উৎপাদন ক্ষমতা ও পণ্যের গুণগত মান বাড়াতে এই মেশিন কেনা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে ৩০টি এয়ার জেট ওয়েভিং মেশিন (লুমস) কিনবে। এই মেশিন কিনতে ব্যয় হবে ১০ কোটি ৫৬ লাখ টাকা।

এছাড়া, তিন সেট স্ক্রু এয়ার কম্প্রেশার কিনবে, যাতে ব্যয় হবে এক কোটি ৪৪ লাখ টাকা। এক কোটি ৩৮ লাখ ১৬ হাজার টাকা দিয়ে কেনা হবে কস্টিক রিকভারি প্লান্ট এবং ৩ সেট আনুষঙ্গিক যন্ত্রাংশ কেনা হবে, যার ব্যয় ধরা হয়েছে সাত কোটি ৯০ লাখ ৬৮ হাজার টাকা।

উল্লেখ্য, ‘এ’ ক্যাটাগরির এ কোম্পানিটি ২০১৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। সর্বশেষ কার্যদবিসে কোম্পানির শেয়ারদর আগের কার্যদিবসের চেয়ে তিন দশমিক ৯৮ শতাংশ বা ৯০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ২৩ টাকা ৫০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ২৩ টাকা ৩০ পয়সা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ২২ টাকা ৮০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ২৩ টাকা ৫০ পয়সার মধ্যে হাতবদল হয়। ওই দিন ৬৪ লাখ ৮২ হাজার ৬৫৮টি শেয়ার মোট এক হাজার ৭৪৭ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ১৪ কোটি ৯৩ লাখ ৯৪ হাজার টাকা। গত এক বছরে শেয়ারদর ১৪ টাকা ২০ পয়সা থেকে ২৭ টাকা ৬০ পয়সার মধ্যে হাতবদল হয়।

কোম্পানির ১৫০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১৪৪ কোটি টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৬১ কোটি ৬১ লাখ টাকা।

২০১৬ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সমাপ্ত ১৮ মাসের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ ও ২০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছিল। এই সময় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) করেছিল দুই টাকা ২৫ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ১৩ পয়সা। কর-পরবর্তী

মুনাফা করেছিল ২৩ কোটি ৮২ লাখ ৫০

হাজার টাকা।

২০১৫ সালে কোম্পানিটির ইপিএস ছিল এক টাকা ৬২ পয়সা এবং এনএভি ছিল ১৭ টাকা ৬২ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে এক টাকা ৪৪ পয়সা ও ১৫ টাকা ৯০ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী আয় ছিল ১৬ কোটি ৬৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা, যা আগের বছর ছিল ১৬ কোটি ৫২ লাখ টাকা। কোম্পানিটি চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ইপিএস হয়েছে ৪৪ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ইপিএস ছিল ৫০ পয়সা। অর্থাৎ ইপিএস কমেছে ছয় পয়সা। ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ পর্যন্ত এনএভি দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ৫৭ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ১৭ টাকা ১৩ পয়সা। কর-পরবর্তী মুনাফা করেছিল পাঁচ কোটি ৩০ লাখ ৫০ হাজার। কোম্পানিটির মোট ১৪ কোটি ৪০ লাখ শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৩৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ শেয়ার রয়েছে, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের ২১ দশমিক ৯৮ শতাংশ ও ৪১ দশমিক ৩৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে।

Add Comment

Click here to post a comment

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০