নিজস্ব প্রতিবেদক: গত ২৪ ঘণ্টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সাত যাত্রীকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাদের শরীরে তাপমাত্রা বেশি হওয়ায় হাসপাতালে পাঠানো হয় বলে জানিয়েছেন বিমানবন্দরের পরিচালক তৌহিদ-উল-আহসান। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি বলেন, এসব যাত্রী দুবাই, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া ও কুয়েত থেকে ফিরেছেন। হাসপাতালে তাদের ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে।
এদিকে কাতার এয়ারওয়েজ ও টার্কিস এয়ারলাইনসের দুটি ফ্লাইটে করে ইউরোপ থেকে দেশে ফিরেছেন সাত যাত্রী। এর মধ্যে তিনজন সুইডেন ও চারজন সেøাভেনিয়া থেকে এসেছেন। ইউরোপ থেকে যাত্রী আসার ওপরে নিষেধাজ্ঞার কারণে প্রথমে দেশে প্রবেশে তাদের বাধা দেওয়া হয়। পরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিয়ে দেশে প্রবেশ করেন তারা। বিমানবন্দরের পরিচালক তৌহিদ-উল-আহসান বলেন, এ সাতজনকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মাধ্যমে প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার জন্য নেওয়া হয়েছে।
এদিকে ফ্রান্স ও পর্তুগালের পাসপোর্টধারী দুই বাংলাদেশিকে সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ফেরত পাঠিয়েছে ইমিগ্রেশন পুলিশ। বাংলাদেশ বিমানের এ দুই যাত্রীকে ইমিগ্রেশন না করে বিমান কর্তৃপক্ষের কাছে ফিরিয়ে দেয় পুলিশ।
গতকাল সকাল সাড়ে ১০টায় বিমানের বিজি-২০২ ফ্লাইটে লন্ডন থেকে সরাসরি সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে নামেন তারা। দুই যাত্রীর একজনের বাড়ি সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলায় আর অন্যজনের বাড়ি চট্টগ্রামে। তারা ফ্রান্স ও পর্তুগালের পাসপোর্টধারী হলেও দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাজ্যে বসবাস করছিলেন।
ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশের পরিদর্শক ফারুক আহমদ বলেন, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে যুক্তরাজ্য ছাড়া ইউরোপের অন্য দেশের পাসপোর্টধারীদের বাংলাদেশে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এ কারণে ফ্রান্স ও পর্তুগালের পাসপোর্টধারী দুজনের ইমিগ্রেশন করা হয়নি। তাদের বিমান কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এর আগে গত ১৬ মার্চ থেকে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের কারণে ইউরোপ থেকে আসা যাত্রীদের জন্য বাংলাদেশে প্রবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। আপাতত আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে বলেও জানিয়েছিল বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। এতে বলা হয়, নিষেধাজ্ঞা চলাকালে কোনো দেশের এমনকি বাংলাদেশিরাও ইউরোপের দেশ থেকে এলে তাদের গ্রহণ করা হবে না। তাদের নিজ খরচে ফেরত যেতে হবে।
করোনাভাইরাস ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ায় ইউরোপের দেশ ইতালি থেকে শত শত বাংলাদেশি আসার পর দেশে সংক্রমণ ঠেকাতে সতর্কতামূলক এ সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এদিকে করোনাভাইরাসে দেশে নতুন করে আরও তিনজন আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে দুজন পুরুষ ও একজন নারী। তারা একই পরিবারের সদস্য। সব মিলিয়ে দেশে এখন করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১৭ জন। এরই মধ্যে বাংলাদেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে একজন মারা গেছেন।