কর্মজীবী মায়েদের সন্তান ও কর্মজীবী নারীদের সুরক্ষা এবং নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করছে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন সব শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র ও কর্মজীবী মহিলা হোস্টেল। করোনাভাইরাসের কারণে বিদ্যমান পরিস্থিতিতে জনসমাগম এড়িয়ে সর্বোচ্চ সতর্কতার সঙ্গে শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র ও কর্মজীবী মহিলা হোস্টেল পরিচালনার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। করোনাভাইরাসের ঝুঁকি এড়াতে এসব স্থানে দর্শনার্থীদের গমন নিরুৎসাহিত করা হবে। মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন প্রকল্প ও কর্মসূচির আওতায় পরিচালিত সব প্রশিক্ষণ ও বাংলাদেশ শিশু একাডেমিসহ মাঠপর্যায়ে শিশু একাডেমির সব সাংস্কৃতিক কার্যক্রম ৩১ মার্চ পর্যন্ত স্থগিত করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
গতকাল বাংলাদেশ সচিবালয়ে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা এমপির সভাপতিত্বে একটি জরুরি সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী রওশন আক্তার, মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক পারভীন আকতার, জাতীয় মহিলা সংস্থার নির্বাহী পরিচালক কাজল ইসলাম ও বাংলাদেশ শিশু একাডমির মহাপরিচালক জ্যোতি লাল কুরিসহ মন্ত্রণালয় ও দপ্তর-সংস্থার কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
জনসমাগম হতে পারে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এমন সব সভা ৩১ মার্চ পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। জয়িতা ফাউন্ডেশন পরিচালিত জয়িতা ফুড কোর্ট সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে। সভায় শিশু দিবাযতœ কেন্দ্র ও শিশু বিকাশ কেন্দ্রে অবস্থানরত শিশুসহ কর্মজীবী মহিলা হোস্টেলে অবস্থানরত নারীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা ও করোনাভাইরাসের এর সংক্রমণ এড়াতে সচেতনতা বাড়াতে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। পথশিশুদের সার্বক্ষণিক পুনর্বাসন কেন্দ্রে অবস্থানের বিষয় নিশ্চিত করা হয়েছে।
কর্মক্ষেত্রে নিয়মিত বিরতিতে হাত ধোয়া, আইইডিসিআরের নির্দেশিত পন্থায় হাঁচি-কাশি দেওয়া, করমর্দন বা কোলাকুলি থেকে বিরত থাকা, জনসমাগম পরিহার করার পাশাপাশি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। মাঠপর্যায়ের সব অফিস, শিশু দিবা-যতœকেন্দ্র ও হোস্টেলে মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তর-সংস্থাকে আইইডিসিআরের হটলাইন নম্বার ও সচেতনতামূলক নির্দেশনা দেওয়ার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে।