বিনিয়োগকারীদের চাহিদার শীর্ষে ব্যাংকের শেয়ার

নিজস্ব প্রতিবেদক : নতুন নিয়মে ওপেন প্রাইস নির্ধারণের পর পুঁজিবাজারে পতন থেমেছে। দেখা দিয়েছে সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা। এতে সব খাতের শেয়ারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। তবে এই দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে ব্যাংক খাত। প্রতিদিনই লেনদেনে এ খাতের কোম্পানির আধিপত্য দেখা যাচ্ছে। বন্ধের আগে গতকাল শেষ দিনেও বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের শীর্ষে ছিল এই খাত। যে কারণে ব্যাংকের শেয়ারদর বেড়েছে বেশি।

গতকাল দর বৃদ্ধির দৌড়ে সবার ওপরে ছিল ওয়ান ব্যাংক। সকাল থেকেই এ ব্যাংকের শেয়ার  কেনার জন্য ক্রেতার ভিড় লক্ষ করা গেছে। যে কারণে দরও বাড়তে থাকে। দিন শেষে এ কোম্পানির প্রতিটি শেয়ারদর বাড়ে আট শতাংশ। পরের অবস্থানে ছিল স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক। ওয়ান ব্যাংকের মতো প্রতিষ্ঠানের শেয়ারদরও প্রায় আট শতাংশ বাড়তে দেখা যায়। দর বাড়তে দেখা যায় ব্যাংক খাতের সবচেয়ে দুর্বল কোম্পানি আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকেরও। এ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারদর বাড়ে সাত শতাংশের বেশি।

এছাড়া তালিকায় ছিল এক্সিম ব্যাংক, ইউসিবি, উত্তরা ও সিটি ব্যাংক। অন্যান্য ব্যাংকের শেয়ারদরও বাড়তে দেখা গেছে।

বাজার-সংশ্লিষ্টরা বলেন, পুঁজিবাজারের সবচেয়ে শক্তিশালী খাত হচ্ছে ব্যাংক খাত। অন্যান্য খাতের তুলনায় এ খাতের কোম্পানির লভ্যাংশ প্রদানের হারও বেশি। সে কারণে বরাবরই এ খাতের শেয়ারের প্রতি বিনিয়োগকারীর আগ্রহ ছিল। কিন্তু ২০১০ সালে ধসের পর থেকে এ খাতের প্রতি সাধারণ বিনিয়োগকারীর আগ্রহ কমতে থাকে। এর সঙ্গে যোগ হয় হলমার্ক কেলেঙ্কারিসহ ব্যাংকের আরও কিছু দুর্নীতির খবর। যে কারণে এ খাতের প্রতি সবার অনাস্থা বাড়ে। তবে এখন পরিস্থিতি বদলে গেছে। যে কারণে এ খাতের শেয়ারের প্রতি আবারও বিনিয়োগকারীর আগ্রহ বেড়েছে। তাছাড়া এখন সবচেয়ে কম দরে পাওয়া যাচ্ছে এ খাতের শেয়ার।

জানতে চাইলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, ব্যাংক খাত পুঁজিবাজারের একটি শক্তিশালী খাত। দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের জন্য এ ধরনের খাতের শেয়ার পছন্দ করেন বুদ্ধিমান বিনিয়োগকারীরা। এখন খাতটির প্রায় সব শেয়ারই বিনিয়োগযোগ্য অবস্থায় রয়েছে। দেখেশুনে বিনিয়োগ করতে পারলে এখান থেকে ভালো মুনাফা করা সম্ভব।

বর্তমানে এ খাতে তালিকাভুক্ত ৩০ কোম্পানির মধ্যে অভিহিত দরের নিচে অবস্থান করছে আট প্রতিষ্ঠানের শেয়ার। আর ১৩ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেন হচ্ছে ২০ টাকার নিচে। অন্য শেয়ারগুলোর মধ্যে ৫০ টাকার ওপরে লেনদেন হচ্ছে শুধু ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের শেয়ার। বর্তমানে এ শেয়ার লেনদেন হচ্ছে ৫৯ টাকায়। অন্যদিকে বর্তমানে এ শেয়ারের মূল্য আয় অনুপাত অবস্থান করছে আটের নিচে, যা শেয়ারে বিনিয়োগের জন্য সবুজ সংকেত। সাধারণত ১৫-এর নিচে শেয়ারের মূল্য আয় অনুপাত থাকলে ওই শেয়ার বিনিয়োগ উপযোগী ধরা হয়। আর মূল্য আয় অনুপাত যদি ২০ অতিক্রম করে, তবে ধীরে ধীরে ওই শেয়ার ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে। তাই বিনিয়োগকারীদের ঝুঁকি এড়াতে শেয়ারের মূল্য আয় অনুপাত ৪০-এর ওপরে গেলে ওই শেয়ারে মার্জিন সুবিধা বন্ধ করে দেওয়া হয়।

বিষয় ➧

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০