চীনের উপহার দেয়া ইনফ্রায়েড থার্মোমিটারে শুল্ককর ছাড়

নিজস্ব প্রতিবেদক: করোনাভাইরাস মোকাবিলায় উপহার হিসেবে বাংলাদেশকে চীন ১০ হাজার টেস্ট কিট, প্রথম সারির ডাক্তারদের জন্য ১০ হাজার পিপিই ও এক হাজার ইনফ্রায়েড থার্মোমিটার দিয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) বিকেল সাড়ে চারটার দিকে একটি কার্গো বিমানে চীনের কুনমিং থেকে হজযত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছেছে।

করোনা ভাইরাসের চিকিৎসার উপকরণ এ এক হাজার ইনফ্রায়েড থার্মোমিটারে শুল্ককর ছাড় দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) এনবিআরের দ্বিতীয় সচিব (কাস্টমস: অব্যাহতি ও প্রকল্প সুবিধা) মো. শাফায়েত হোসেন সই করা ‘বিশেষ আদেশ’ জারি করা হয়েছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের চিঠির প্রেক্ষিতে এক হাজার ইনফ্রায়েড থার্মোমিটারে শুল্ককর ছাড় দেয়া হয়েছে।

বিশেষ আদেশে বলা হয়, করোনা ভাইরাস চিকিৎসা উপকরণ ইনফ্রায়েড থার্মোমিটার এর উপর প্রযোজ্য শুল্ককর মওকুফের জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে এনবিআর চেয়ারম্যানকে অনুরোধ জানিয়ে ২৬ মার্চ চিঠি দেয়। সাথে আমদানি করা এক হাজার পিস ইনফ্রায়েড থার্মোমিটারের তালিকা দেয়া হয়। সম্প্রতি কোভিড-১৯ ভাইরাস প্রতিরোধে সম্প্রতি চীন সরকার থেকে অনুদান হিসেবে এক হাজার পিস ইনফ্রায়েড থার্মোমিটার দেয়া হয়। কাস্টমস আইন, ১৯৬৯, মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ এবং আয়কর আইন, ১৯৮৪ ক্ষমতাবলে আমদানি শুল্ক, রেগুলেটরি ডিউটি, সম্পূরক শুল্ক, ভ্যাট, আগাম কর ও অগ্রিম কর শর্ত সাপেক্ষে মওকুফ করা হয়েছে।

শর্তের মধ্যে রয়েছে, আমদানি করা এক হাজার পিস ইনফ্রায়েড থার্মোমিটারসমূহ কোভিড-১৯ ভাইরাস প্রতিরোধে ব্যবহার করতে হবে। এসব পণ্য শুল্ক মূল্যায়ন বিধিমালা, ২০০০ এর আলোকে যথাযথ মূল্য ও এইচএস কোডে শুল্কায়ন করতে হবে। শুল্কায়নের পূর্বে পণ্যের স্পেসিফিকেশন ও ঘোষণার সঠিকতা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে। আমদানি নীতি আদেশ, ২০১৫-১৮ অনুযায়ী পণ্য আমদানির জন্য প্রযোজ্য শর্তাদি এবং যোগ্যতা এ ক্ষেত্রে পরিপালনীয়।

এবং সংশ্লিষ্ট কাস্টম হাউস কমিশনারের নিকট আমদানিকারক ৩০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে এই মর্মে অঙ্গীকারনামা দাখিল করতে হবে। সেখানে আমদানি করা এক হাজার পিস ইনফ্রায়েড থার্মোমিটারসমূহ কোন প্রকার হস্তান্তর, বিক্রয়, অন্য ব্যবহার, চুরি বা খোয়া গেলে সেই আমদানিকারক কর্তৃক প্রযোজ্য শুল্ককর পরিশোধে বাধ্য থাকবেন। বিশেষ আদেশ অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে ঢাকা কাস্টম হাউস কমিশনারকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।  

এর আগে ২২ মার্চ করোনা ভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারি মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় হ্যান্ড স্যানিটাইজার প্রস্তুতের উপকরণ, টেস্টিং কিট, সার্জিক্যাল মাস্ক, চিকিৎসকদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সরঞ্জাম আমদানিতে প্রযোজ্য সকল ধরনের শুল্ককর দেয় এনবিআর। ১১টি হেডিং এর ১৭ ধরনের কাঁচামাল আমদানি এ ছাড় দেয়া হয়।

অব্যাহতি আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। অব্যাহতিপ্রাপ্ত পণ্যগুলো হলো-হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরির কাঁচামাল আইসোপ্রোপাইল অ্যালকোহল, করোনা ভাইরাস সনাক্তের তিন ধরনের কভিড-১৯ টেস্ট কিট ও রি-এজেন্ট, বাল্কের জীবাণুনাশক, সার্জিক্যাল মাস্ক, নিরাপত্তা পোশাক তৈরির কয়েক ধরনের উপাদান, কয়েক ধরনের মেডিকেল সুরক্ষা গিয়ার, প্রতিরক্ষামূলক চশমা এবং গ্লাপস ইত্যাদি।  

###

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০