ক্রীড়া প্রতিবেদক: স্বাধীনতার ৪৭তম বছরে পদার্পণ করছে জাতি। হয়তো এ রিপোর্ট যখন পাঠকরা পড়বেন, তখন আজকের এই শুভক্ষণে আরও একটি সুখবর পাবেন। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে জিতেছে বাংলাদেশ। আপাতত ডাম্বুলার রনগিরি স্টেডিয়ামে সে লক্ষ্যের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছে মাশরাফি বিন মুর্তজার দল। সফরকারীদের ৩২৪ রানের জবাবে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ২৯.২ ওভারে ৫ উইকেটে ১২২ রান করেছে স্বাগতিকরা। টাইগাররা জয় থেকে মাত্র পাঁচ উইকেটে দূরে।
শ্রীলঙ্কাকে ৩২৫ রানের লক্ষ্য দিয়ে বোলিংয়ের শুরুটাও দুর্দান্ত করে বাংলাদেশ। ইনিংসের তৃতীয় বলেই সফরকারীদের উইকেট এনে দেন প্রায় দুই মাস পর আন্তর্জাতিক ম্যাচে বল হাতে নেওয়া মাশরাফি বিন মুর্তজা। ধানুস্কা গুনাথিলাকাকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন টাইগার রঙিন পোশাকের অধিনায়ক। এর কিছুক্ষণ পরই ওয়ানডে অভিষিক্ত মেহেদি হাসান মিরাজ তুলে নেন কুশল মেন্ডিসকে। এই ডান হাতিকে উড়িয়ে মারতে চেয়েছিলেন মেন্ডিস। কিন্তু সীমানায় ক্যাচ নিলেন বদলি ফিল্ডার শুভাগত হোম চৌধুরী।
ইনিংসের ১০ ওভার পর তাসকিন আহমেদের হাতে বল তুলে দেন মাশরাফি। ওই ওভারেই অধিনায়কের আস্থার প্রতিদান দিতে ভুল করেননি তিনি। বাংলাদেশের বিপক্ষে বরাবরই সফল উপুল থারাঙ্গাকে (১৯) বিদায় করে দিলেন এ স্পিডস্টার। তার ওভারের শেষ বলটি ছিল শর্ট। থারাঙ্গা চেয়েছিলেন পুল করতে। কিন্তু গতির কাছে হয়ে যান পরাস্ত। মিডঅনে লঙ্কান অধিনায়ক ধরা পড়েন ম্যাশের হাতে। ৩১ রানে ৩ উইকেট হারিয়েও হাল ছাড়েনি শ্রীলঙ্কা। চতুর্থ উইকেটে গুনারতœকে নিয়ে টাইগার বোলারদের বিপক্ষে বুক চিতিয়ে লড়াই করেন দিনেশ চান্দিমাল। ওভারপ্রতি প্রয়োজনমতো রান নিতে না পারলেও উইকেটে টিকে থাকার মানসিকতা দেখা যায় তাদের মধ্যে। এর মধ্যে ৭৩ বলে ৫৬ রানের জুটি গড়েন চান্দিমাল-গুনারতেœ। ওই সময়ে একটা ব্রেক থ্রুর দরকার হয়ে পড়ে টাইগারদের। ঠিক সেই সময়ে বাংলাদেশকে উইকেট এনে দেন সাকিব আল হাসান। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারকে রিভার্স সুইপ খেলেছিলেন গুনারতেœ। কিন্তু বল রাখতে পারেননি নিচে। পয়েন্টে নিচু ক্যাচ নিয়েছেন মোসাদ্দেক। ২৪ রানে ফেরেন তিনি। এরপর মিলিন্দা সিরিবর্ধনাকে নিয়ে পঞ্চম উইকেটে ৩৪ বলে ৩৪ রান করে লড়াইয়ের ইঙ্গিত দেন চান্দিমাল। কিন্তু তাকে আটকে দেন মেহেদি হাসান মিরাজ। দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে শ্রীলঙ্কান এ উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যানকে বোকা বানিয়ে সৌম্য সরকারের হাতে ক্যাচে পরিণত করেন। আউট হওয়ার আগে চান্দিমাল ৭০ বলে ছয়টি চারে করেন ৫৯ রান। এর সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশের জয়ের ভিতটাও যেন আরও মজবুত হয়েছে। পাঠকরা যখন এ রিপোর্টটি পড়ছেন, তখন হয়তো জয়ের উল্লাসে মেতেছে টাইগার সমর্থকরা।
জয়ের পথে বাংলাদেশ

Add Comment