করোনা থেকে বাঁচাবে বিসিজি টিকা!

রহমত রহমান: করোনার আক্রমণে কাঁপছে গোটা বিশ্ব। প্রতি মুহূর্তে বেড়ে চলেছে মৃত ও আক্রান্তের সংখ্যা। পৃথিবী তাবৎ শক্তিধর দেশগুলোও কাহিল হয়ে পড়েছে করোনা থাবায়। পাশাপাশি চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা প্রতি মুহূর্তে চেষ্টা করে চলেছেন এই মরণ ভাইরাসের প্রতিষেধক আবিষ্কারের। তবে এ মুহূর্তে নিজেকে খুব সৌভাগ্যবান ভাবতে পারেন, যদি আপনার বাম হাতে থাকে বিসিজি বা ব্যাসিলাস ক্যালমেট-গুউরিন টিকার দাগ।

আমাদের দেশে অধিকাংশ মানুষের শরীরে রয়েছে এই টিকার দাগ, যা যক্ষার প্রতিষেধক হিসেবে শৈশবে দেয়া হয়েছিল। আর এই টিকাই প্রতিরোধ করতে পারে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস। বিশ্বে বিভিন্ন দেশ থেকে করোনা আক্রান্ত রোগীদের প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে কয়েকটি গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি কলেজ অফ অস্টিওপ্যাথিক মেডিসিনের এক গবেষণা এবং স্বাস্থ্য বিষয়ক আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান মেড আর্কাইভের পৃথক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। যুক্ত

রাষ্ট্রের ছয় বিজ্ঞানীর গবেষণা বলছে, যেসব দেশে বিসিজি টিকা কর্মসূচি আছে সেখানে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ভয়াবহতা কম। এর ফলে সুবিধাজনক অবস্থায় আছে বাংলাদেশসহ বিশ্বের অনেক স্বল্পোন্নত দেশ। প্রতিবেদনে বলা হয়, বাহুতে বিসিজি ব্যাসুলাস ক্যালমেট টিকার দাগই হতে পারে এখন স্বস্তির কারণ। বাংলাদেশে বেশিরভাগ মানুষের শরীরে রয়েছে এ টিকার দাগ, যা যক্ষার প্রতিষেধক হিসেবে শৈশবে দেওয়া হয়েছিল। স্বাস্থ্য বিষয়ক আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান মেড আর্কাইভ গত ২৪ মার্চ প্রকাশ করেছে একটি গবেষণা প্রতিবেদন।

এছাড়া দি নিউইর্য়ক ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির গবেষণায়ও বিষয়টি উঠে এসেছে। যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি প্রতিষ্ঠানের ছয় বিজ্ঞানীর অনুসন্ধান বলছে, যেসব দেশে জাতীয় নীতিতে বিসিজি টিকা কর্মসূচি রয়েছে সেখানে ভয়াবহতা হয়নি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ। গবেষণায় দেখা গেছে, করোনা ভাইরাসে হিমশিম খাওয়া যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি, স্পেন, বেলজিয়ামে জাতীয়ভাবে এ টিকা কর্মসূচি নেই। অন্যদিকে ইরানে যক্ষার ভ্যাকসিন সার্বজনীন করা হয় অনেক পরে ১৯৮৪ সালে। মধ্য পাচ্যের এ দেশে মৃত্যু হারও অনেক বেশি।

তবে ইরানের বয়স্কদের মধ্যে যারা বিসিজি টিকা নিয়েছেন তারা করোনার বিরুদ্ধে লড়াই চালাতে পারছেন এবং মৃত্যু হারও কম। জাপানে ১৯৪৭ সালে বিসিজি টিকা সার্বজনীন করা হয়। এজন্য ইরানে যখন কভিড-১৯এ মৃত্যু হার ১৯.৭% তখন জাপানে ০.২৮%। আবার ব্রাজিলে ভ্যাকসিনটি ১৯২০ সাল থেকেই সার্বজনীন করা হয়। সেখানে মৃত্যুহার ০.০৫%। যক্ষার প্রতিষেধক হিসেবে বাংলাদেশে বিসিজি টিকা কর্মসূচি চালু হয় স্বাধীনতারও অনেক আগে থেকে। আর ১৯৭৯ সাল থেকে নবজাতকে বিসিজি টিকা দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়।

সারাদেশে এখন প্রায় ৯৯.৭৬% মানুষের শরীরে এ টিকা দেওয়া হয়েছে। মেড আর্কাইভের গবেষণাটি স্বাস্থ্য বিষয়ক আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছে। নিউইয়র্ক ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি কলেজ অফ অস্টিওপ্যাথিক মেডিসিনের পক্ষ থেকে বলা হয়, পৃথিবীর যে সব দেশে বিসিজি টিকাদান কর্মসূচি নেই যেমন ইতালি, নেদারল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্রের মানুষের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তবে দীর্ঘস্থায়ী টিকাদান কর্মসূচি যে সব দেশে চালু আছে ওইসব দেশের মানুষের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা কম। গবেষণায় দাবি করা হয়, বিসিজি টিকা আসার পর থেকে বিশ্বে মৃত্যুর হার উল্লেখযোগ্য হারে কমে গেছে। উদাহরণ স্বরূপ বলা হয়, মৃত্যুর হার বেশি হওয়ায় ১৯৮৪ সালে বিসিজি কার্যক্রম শুরু করে ইরান।

দেশটিতে বিসিজি টিকা দেয়া মানুষের মধ্যে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি তেমন একটা পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (এমএনসি অ্যান্ড এইচ) শামছুল হক বলেন, হাওর, পাহাড়ি এলাকা এবং যেখানে মানুষের যাওয়া আসাও কষ্টসাধ্য সেসব এলাকায়ও আমাদের টিকাদান কার্যক্রম চালু থাকে। সেখানে আমাদের টিকাদানের হারও ভালো। যার কারণে আমরা প্রায় ৯৯.৭০% শিশু জন্মের পরপরই টিকাদান কার্যক্রমের আওতায় চলে আসে। মেড আর্কাইভের গবেষণাটি বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বিষয়টি জেনেছে।

এ বিষয়ে আমরা বিশেষজ্ঞদের সাথে কথা বলবো। যদি পজেটিভ কোন দিক থাকে তাহলে সবাইকে আমরা বিষয়টি জানাতে পারবো এবং মানুষকে উদ্ধুদ্ধ করতে পারবো। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, বিসিজি টিকা ১৯২১ সাল থেকে সার্বজনীন করা হয়। সেসময় টিবি বা যক্ষা রোগ সারা পৃথিবীতে প্রার্দুভাব এবং মহামারী আকার ধারণ করে। সেক্ষেত্রে আফ্রিকা ও এশিয়া মহাদেশ বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। সেসময় থেকে এ টিকা দেওয়ার প্রচলন শুরু হয়। এ টিকা বাধ্যতামূলকভাবে দিতে হবে তা খুব বেশি হয় শুরু হয়নি।

ডিপার্টমেন্ট অব বায়োমেডিক্যাল সায়েন্স এবং নিউইয়র্ক ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির গবেষণায় দেখা যায়, বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়া ও আফ্রিকা মহাদেশের বিভিন্ন দেশের তুলনায় ইউরোপের দেশগুলো বিসিজি টিকা খুব একটা গ্রহণ করেনি। কারণ তাদের ভেতর একটি হিনমন্যতা ছিল যে, কেবল দরিদ্র রাষ্ট্রগুলোতে যক্ষা রোগের প্রার্দুভাব দেখা দেয়। বাংলাদেশ, ভারতসহ বেশ কিছু দেশে নবজাতকের জন্মের পরপরই এ টিকা দেওয়া হয়।

তবে বাংলাদেশে ইতোমধ্যে যারা করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের শরীরের বিসিজি টিকা দেওয়া ছিল কিনা তা নিয়ে গবেষণা করা হবে। তাদের সব তথ্য আইইডিসিআরের কাছে রয়েছে। তবে বাংলাদেশে যখন বিসিজি টিকা বাধ্যতামূলক করা হয়নি সেসময় যারা জন্মগ্রহণ করেছেন তাদের বয়স হয়ত ৭০ বছরের মতো। এখন যারা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে বা হয়েছে তারা এ টিকা নিয়েছেন কিনা তা হয়ত স্বাস্থ্য অধিদপ্তর গবেষণা করে দেখবে। তবে এ বিসিজি টিকার মাধ্যমে বাংলাদেশ করোনা ভাইরাসের প্রার্দুভাব রোধে একটু আশার আলো দেখতে পারে বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টরা।

আমাদের দেশে অধিকাংশ মানুষের শরীরে রয়েছে এই টিকার দাগ, যা যক্ষার প্রতিষেধক হিসেবে শৈশবে দেয়া হয়েছিল। আর এই টিকাই প্রতিরোধ করতে পারে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস। বিশ্বে বিভিন্ন দেশ থেকে করোনা আক্রান্ত রোগীদের প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে কয়েকটি গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি কলেজ অফ অস্টিওপ্যাথিক মেডিসিনের এক গবেষণা এবং স্বাস্থ্য বিষয়ক আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান মেড আর্কাইভের পৃথক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ছয় বিজ্ঞানীর গবেষণা বলছে, যেসব দেশে বিসিজি টিকা কর্মসূচি আছে সেখানে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ভয়াবহতা কম। এর ফলে সুবিধাজনক অবস্থায় আছে বাংলাদেশসহ বিশ্বের অনেক দেশ। প্রতিবেদনে বলা হয়, বাহুতে বিসিজি ব্যাসুলাস ক্যালমেট টিকার দাগই হতে পারে এখন স্বস্তির কারণ। বাংলাদেশে বেশিরভাগ মানুষের শরীরে রয়েছে এ টিকার দাগ, যা যক্ষার প্রতিষেধক হিসেবে শৈশবে দেওয়া হয়েছিল। স্বাস্থ্য বিষয়ক আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান মেড আর্কাইভ গত ২৪ মার্চ প্রকাশ করেছে একটি গবেষণা প্রতিবেদন। এছাড়া দি নিউইর্য়ক ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির গবেষণায়ও বিষয়টি উঠে এসেছে। যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি প্রতিষ্ঠানের ছয় বিজ্ঞানীর অনুসন্ধান বলছে, যেসব দেশে জাতীয় নীতিতে বিসিজির টিকা কর্মসূচি রয়েছে সেখানে ভয়াবহতা হয়নি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ।

গবেষণায় দেখা গেছে, করোনা ভাইরাসে হিমশিম খাওয়া যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি, স্পেন, বেলজিয়াম জাতীয় ভাবে টিকা কর্মসূচি নেই। অন্যদিকে ইরানে যক্ষার ভ্যাকসিন সার্বজনীন করা হয় অনেক পরে ১৯৮৪ সালে। মধ্য পাচ্যের এ দেশে মৃত্যু হার অনেক বেশি। তবে ইরানের বয়স্কদের মধ্যে যারা বিসিজির টিকা নিয়েছেন তারা করোনার বিরুদ্ধে লড়াই চালাতে পারছেন এবং মৃত্যু হারও কম। জাপানে ১৯৪৭ সালে বিসিজি টিকা সার্বজনীন করা হয়।

এ জন্য ইরানে যখন কভিড-১৯ মৃত্যু হার ১৯.৭% তখন জাপানে ০.২৮%। আবার ব্রাজিলে ভ্যাকসিনটি ১৯২০ সাল থেকেই সার্বজনীন করা হয়। সেখানে মৃত্যুহার ০.০৫%। যক্ষার প্রতিষেধক হিসেবে বাংলাদেশে বিসিজি টিকা কর্মসূচি স্বাধীনতারও অনেক আগে থেকে। ১৯৭৯ সাল থেকে নবজাতকে বিসিজি টিকা দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়। সারাদেশে এখন প্রায় ৯৯.৭৬% মানুষের শরীরে এ টিকা দেওয়া হয়েছে। মেড আর্কাইভের গবেষণাটি স্বাস্থ্য বিষয়ক আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছে।

নিউইয়র্ক ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি কলেজ অফ অস্টিওপ্যাথিক মেডিসিনের পক্ষ থেকে বলা হয়, পৃথিবীর যে সব দেশে বিসিজি টিকাদান কর্মসূচি নেই যেমন ইতালি, নেদারল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্রের মানুষের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তবে দীর্ঘস্থায়ী টিকাদান কর্মসূচি যে সব দেশে চালু আছে ওইসব দেশের মানুষের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা কম। গবেষণায় দাবি করা হয়, বিসিজি টিকা আসার পর থেকে বিশ্বে মৃত্যুর হার উল্লেখযোগ্য হারে কমে গেছে। উদাহরণ স্বরূপ বলা হয়, মৃত্যুর হার বেশি হওয়ায় ১৯৮৪ সালে বিসিজি কার্যক্রম শুরু করে ইরান। দেশটিতে বিসিজি টিকা দেয়া মানুষের মধ্যে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি তেমন একটা পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (এমএনসি অ্যান্ড এইচ) শামছুল হক বলেন, হাওর, পাহাড়ি এলাকা এবং যেখানে মানুষের যাওয়া আসাও কষ্ট সেসব এলাকায়ও আমাদের টিকাদান কার‌্যক্রম চালু থাকে। সেখানে আমাদের টিকাদানের হারও ভালো। যার কারণে আমরা প্রায় ৯৯.৭০% শিশু জন্মের পরপরই টিকাদান কার‌্যক্রমের আওতায় চলে আসে। মেড আর্কাইভের গবেষণাটি বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বিষয়টি জেনেছে। এ বিষয়ে আমরা বিশেষজ্ঞদের সাথে কথা বলবো। যদি পজেটিভ কোন দিক থাকে তাহলে সবাইকে আমরা বিষয়টি জানাতে পারবো এবং মানুষকে উদ্ধুদ্ধ করতে পারবো।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, বিসিজি টিকা ১৯২১ সাল থেকে সার্বজনীন করা হয়। সেসময় টিবি বা যক্ষা রোগ সারা পৃথিবীতে প্রার্দুভাব এবং মহামারী আকার ধারণ করে। সেক্ষেত্রে আফ্রিকা ও এশিয়া মহাদেশ বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। সেসময় থেকে এ টিকা দেওয়ার প্রচলন শুরু হয়। এ টিকা বাধ্যতামূলকভাবে দিতে হবে তা খুব বেশি হয় শুরু হয়নি।

ডিপার্টমেন্ট অব বায়োমেডিক্যাল সায়েন্স এবং নিউইয়র্ক ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির গবেষণায় দেখা যায়, বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়া ও আফ্রিকা মহাদেশের বিভিন্ন দেশের তুলনায় ইউরোপের দেশগুলো বিসিজি টিকা খুব একটা গ্রহণ করেনি। কারণ তাদের ভেতর একটি হিনমন্যতা ছিল যে, কেবল দরিদ্র রাষ্ট্রগুলোতে যক্ষা রোগের প্রার্দুভাব দেখা দেয়। বাংলাদেশ, ভারতসহ বেশ কিছু দেশে নবজাতকের জন্মের পরপরই এ টিকা দেওয়া হয়। তবে বাংলাদেশে ইতোমধ্যে যারা করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের শরীরের বিসিজি টিকা দেওয়া ছিল কিনা তা নিয়ে গবেষণা করা হবে। তাদের সব তথ্য আইইসিআরের কাছে রয়েছে।

তবে বাংলাদেশে যখন বিসিজি টিকা বাধ্যতামূলক করা হয়নি সেসময় যারা জন্মগ্রহণ করেছেন তাদের বয়স হয়ত ৭০ বছরের মতো। এখন যারা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে বা হয়েছে তারা এ টিকা নিয়েছেন কিনা তা হয়ত স্বাস্থ্য অধিদপ্তর গবেষণা করে দেখবে। তবে এ বিসিজি টিকার মাধ্যমে বাংলাদেশ করোনা ভাইরাসের প্রার্দুভাব রোধে একটু আশার আলো দেখতে পারে বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টরা।

অপরদিকে, চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা করোনাভাইরাস মহামারিতে ভ্যাকসিনটি কোনো উপকারে আসতে পারে কিনা, তা খতিয়ে দেখতে বিজ্ঞানীদের বেশ কয়েকটি দল কাজ করছেন। নেদারল্যান্ডের ইউএমসি উট্রেচট-এর বিজ্ঞানীদের একটি দল এ সপ্তাহে প্রথমবারের মতো ৮টি হাসপাতালে প্রায় ১ হাজার স্বাস্থ্যকর্মীর ওপর  ভ্যাকসিনটির ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু করতে যাচ্ছেন। বিজ্ঞানী দলটির অন্যতম সদস্য মার্ক বোন্টেন সায়েন্স ম্যাগাজিনকে বলেন, ‘এতে অংশ নিতে অনেকের উৎসাহ রয়েছে।’

এদিকে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীদের একটি দলও বিসিজি নিয়ে স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে গবেষণা শুরু করতে যাচ্ছেন। এই ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন হাসপাতালের ৪,০০০ স্বাস্থ্যকর্মী জড়িত থাকবেন।

মারডোক চিল্ড্রেন রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ক্যাথরিন নর্থ এসি বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার চিকিৎসা গবেষকদের কঠিন ও উদ্ভাবনী পরীক্ষা পরিচালনার জন্য খ্যাতি রয়েছে। এই ট্রায়ালটি কোভিড-১৯ লক্ষণের বিরুদ্ধে ভ্যাকসিনটির কার্যকারিতা যথাযথভাবে নির্ণয় করার সুযোগ তৈরি করবে।’

###

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০