প্রতিনিধি, নোয়াখালী: নোয়াখালীর সুবর্ণচরে পূর্ব শক্রতার জের ধরে তিন একর জমির তরমুজ সাবাড় করার অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি উপজেলার সুবর্ণচরের চরওয়াপদার চরকাজী মোখলেছ এলাকার কৃষক ইব্রাহিমের এ তরমুজ কেটে সাবাড় করা হয়। এতে প্রায় ৭ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

এ ঘটনায় অভিযোগের তীর ওই কৃষকের আপন ভাই মনিরের বিরুদ্ধে। তবে ভয়ে কেউ মুখ খুলতে চাচ্ছে না বলে জানান ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক ইব্রাহিম। তিনি বলেন, মনির এলাকায় একজন দুর্ধর্ষ লোক হিসেবে পরিচিত। স্থানীয়রা জানান, মনিরের অসামাজিক কার্যকলাপের কারণে তাকে সমাজ থেকে বিতাড়িত করা হয়েছে।
ইব্রাহিম বিভিন্ন ব্যক্তি ও সমিতির থেকে ধার করে এক ব্যক্তির তিন একর জমি বর্গা নিয়ে তরমুজ চাষ করেছেন। তরমুজ নষ্ট করায় এ দায়-দেনা কিভাবে পরিশোধ করবেন এ নিয়ে হতাশ হয়ে পড়েছেন ওই কৃষক। তারা আরো জানান, এ জমিতে প্রতিদিনই বাপ ছেলে খাটছিলেন। কিছুদিন আগে এক ব্যবসায়ী এসব তরমুজ সাড়ে ৫ লাখ টাকা মূল্যে কিনতে দর কষাকষি করে গেছেন।
ইউনিয়নের মহিলা সদস্যের স্বামী আবুল হাসেম জানান, সমাজের একেবারে নিরীহ, অসহায়, সহজ ও সরল মানুষের একমাত্র এবং বিকল্প পেশাই মাটি চষে দিনাতিপাত করা। আর ফলিত ফসল কৃষকের কাছে সন্তানের চেয়েও বেশি। মঙ্গলবার রাতে সংঘটিত ঘটনার বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ইব্রাহিম তাকে মুঠোফোনে জানালে তিনি সরেজমিনে ক্ষেতটি দেখে আসেন। এ সময় তার কাছে মনে হয়েছে, এটি কোন সভ্য মানুষের কাজ হতে পারে না। ফলিত ফসল তরমুজের মাঝখানে দা বা ছুরি দিয়ে কেটে যে ক্ষতি করেছে তা অভাবনীয়।
ইব্রাহিম জানান, এলাকায় কারো সাথে আমার কোন শত্রুতা নেই। একমাত্র ভাই ইব্রাহিমের সাথে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। ইবাহিম ইতোপূর্বে তাকে প্রাণে হত্যারও হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মনির আহমেদ বলেন, ইব্রাহিমের কাছে ঘটনাটি শুনেছি। মনির এমন কাজ করেনি বলে দাবি করেছেন। তবুও আমি বিষয়টি খতিয়ে দেখবো।
###