নিজস্ব প্রতিবেদক: করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হওয়ায় রাজধানীর ৫২ এলাকা লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। এসব এলাকা থেকে কোন মানুষ বাইরে বের হতে এবং বাইরে থেকে কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। ঢাকা মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কয়েকটি এলাকায় করোনাভাইরাসের রোগী সনাক্ত হওয়ার পর ওই এলাকায় সতর্কতা জারি কার হয়েছে। এর মধ্যে মোহাম্মদপুরের রাজিয়া সুলতানা রোড এর ৫/১৪ এর ৪র্থ তলা ১ জন সনাক্ত। তাজমহল রোড ৮/১৪ একজন মারা গেছে অনেক আগে বাড়ি লস্ক ডাউন করা হয়েছে। ২০/১৯, তাজমহল রোড কৃষি মার্কেট রোড এর মুখে বাড়ি লক ডাউন। ২০/৪ বাবর রোড বাড়ি লকডাউন, ১ জন সনাক্ত। এছাড়া বছিলা উত্তর মোরা এলাকায় ৩ জন সনাক্ত হয়েছে।
এই অবস্থায় হাউজিং, শেখেরটেক, আদাবর এলাকা লোকদেরকে রেসিডেনসিয়াল হয়ে তাজমহল রোড দিয়ে ঐদিকে চলাচল পরিহার করতে বলা হয়েছে। বরং শ্যামলি হয়ে চলাচল করার কথা বলা হয়েছে। এছাড়া সবাই সচেতন থাকতে বলা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার মাসুদুর রহমান জানান, রাজধানীতে সংক্রমণের শুরুর দিকে ঢাকায় মিরপুরের টোলারবাগে রোগী পাওয়ার পর ওই এলাকা আগেই লকডাউন করা হয়। এরপর একে একে পুরান ঢাকায় খাজে দেওয়ান লেনের ২০০ ভবন, মোহাম্মদপুর এবং আদাবরের ৬টি এলাকা, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের সামনে, তাজমহল রোড মিনার মসজিদ এলাকা, রাজিয়া সুলতানা রোড, বাবর রোডের একাংশ, বছিলা ও আদাবর এলাকার কয়েকটি বাড়ি ও রাস্তা। বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় এক নারী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর সেখানকার একটি রাস্তা লকডাউন করা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গতকাল পর্যন্ত যেসব এলাকা লকডাউন করা হয় তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো মহাখালীর আরজত পাড়ার একটি ভবন, বসুন্ধরা এলাকার অ্যাপোলো হাসপাতালসংলগ্ন এলাকা, বসুন্ধরা ডি ব্লকের রোড-৫, বুয়েট এলাকার একাংশ, ইস্কাটনের দিলু রোডের একাংশ, মিরপুরের টোলারবাগ, উত্তরা ১৪ নম্বর সেক্টরের একটি সড়ক এলাকা, কাজীপাড়ার একটি অংশ, সেন্ট্রাল রোডের কিছু অংশ, সোয়ারীঘাটের কিছু অংশ, মিরপুর-১০-এর ৭ নম্বর রোড, পল্টনের কিছু অংশ, আশকোনার কিছু অংশ, নয়াটোলার একাংশ, সেনপাড়ার একটি অংশ, মীর হাজিরবাগের একাংশ, নন্দীপাড়ার ব্রিজের পাশের এলাকা, মিরপুর সেকশন ১১-এর একটি সড়ক, লালবাগের খাজে দেওয়ান রোডের একটি, ধানমন্ডি-৬-এর একটি অংশ, উত্তর টোলারবাগ, মিরপুর-১৩ ডেসকো কোয়ার্টার, দক্ষিণ যাত্রাবাড়ীর কুতুবখালী, পশ্চিম মানিকনগর, নারিন্দার কিছু এলাকা, গ্রিন লাইফ হাসপাতাল এলাকা, ইসলামপুরের একাংশ। এসব এলাকা পুলিশি পাহারায় থাকবে। দিনরাতে কাউকে চলাচল করতে দেওয়া হবে না। এলাকায় সব ধরনের দোকানপাট বন্ধ রাখা হবে।