শেয়ার বিজ ডেস্ক: ভারতে লকডাউনের সময়ে ৮২ শতাংশই শ্রমিকদের পূর্ণ মজুরি দেবে। আর মাত্র ২ দশমিক ৪ শতাংশ কোম্পানি শ্রমিক ছাঁটাই করবে এবং বেতন কাটবে ১০ দশমিক ৬ শতাংশ কোম্পানি।
গোটা ভারতজুড়ে পরিচালিত এক জরিপে এই তথ্য উঠে এসেছে। জরিপটি পরিচালনা করে সাফির নামে একটি এক্সিকিউটিভ সার্চ প্রতিষ্ঠান।
জরিপ প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ার কারণে ব্যবসায়–বাণিজ্যে মারাত্মক প্রভাব পড়লেও অধিকাংশ কোম্পানিই শ্রমিকের পূর্ণ মজুরি প্রদান ও কাটছাঁট না করার অমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ভারতের শীর্ষস্থানীয় ১৫০টি করপোরেট প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি), প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও মানবসম্পদ বিভাগের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের ওপর এই জরিপ পরিচালনা করা হয়।
জরিপে দেখা যায়, ৮২ শতাংশ কোম্পানির শীর্ষ নেতৃত্ব জানিয়েছে যে তারা লকডাউনের কারণে কাজ বন্ধ থাকলেও শ্রমিকদের পূর্ণ মজুরি দেবে মাত্র ১১ শতাংশ প্রতিষ্ঠান শ্রমিকদের ৫০ শতাংশ বা এর চেয়ে কম মজুরি প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে মাত্র এক শতাংশেরও কম (০.৯%) প্রতিষ্ঠান বলেছে যে তারা করোনাকালে অর্থাৎ লকডাউনের সময়ে শ্রমিকদের কোনো মজুরি দেবে না। আর মাত্র সাড়ে ৬ শতাংশ করপোরেট প্রতিষ্ঠান শ্রমিকের মজুরি দেবে কি দেবে না সেই সিদ্ধান্ত এখনো নেয়নি।
তবে ৮৮ শতাংশ কোম্পানিই জানিয়েছে, করোনা মহামারির প্রাদুর্ভাব এবং এ জন্য লকডাউন ঘোষণা করার কারণে তাদের ব্যবসায়ে প্রভাব পড়েছে। এর মধ্যে ৪৪ দশমিক ৩ শতাংশ কোম্পানির ওপর করোনার বিরূপ প্রভাব পড়েছে। ২৬ শতাংশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কথা বলেছে। তবে ১৭ শতাংশ প্রতিষ্ঠান মনে করে, এখনো তাদের ওপর তেমন প্রভাব পড়েনি, কিন্ত পরবর্তীতে পড়ার আশঙ্কা করছে। ১২ শতাংশ প্রতিষ্ঠান জানায়, তারা এখনো খুব বেশি প্রভাব অনুভব করেনি।
সাফিরের জরিপমতে, ৪১ শতাংশ কোম্পানি এ বছর ইনক্রিমেন্ট দেওয়া মানে বার্ষিক মজুরি বাড়ানোর বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। তবে প্রায় ২৭ শতাংশ প্রতিষ্ঠান জানিয়ে দিয়েছে যে তারা এবারে ইনক্রিমেন্ট দেবে না। আর ১৭ শতাংশ প্রতিষ্ঠান ইনক্রিমেন্ট প্রদান অব্যাহত রাখার কথা বলেছে। এ ছাড়া ১৭ শতাংশ বলেছে, ইনক্রিমেন্ট দেওয়া হবে, তবে অর্থের পরিমাণ কমবে।
জরিপ বলছে, ভারতের ৭০ শতাংশ কোম্পানি তাদের কর্মীদের ইতিমধ্যে গ্রুপ মেডিক্যাল সুবিধার আওতায় নিয়ে এসেছে। এসব কোম্পানির কোনো কর্মী কোভিড– ১৯ বা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে গ্রুপ মেডিক্যাল সুবিধা পাবে। ১৬ শতাংশ কোম্পানি তাদের কর্মীদের করোনা সংক্রান্ত চিকিৎসার খরচ দেবে।সাড়ে ১০ শতাংশ প্রতিষ্ঠান সবেতনে ছুটি প্রদানের কথা বলেছে।৩ শতাংশ কোম্পানি অবশ্য জানিয়েছে, তারা ছুটিও দেবে না, বেতনও দেবে না। সূত্র: বিজনেসলাইন