ক্রীড়া প্রতিবেদক : এ ডাম্বুলাতেই সিরিজের প্রথম ওয়ানডে হেসে-খেলেই জিতেছিল বাংলাদেশ। শনিবার ব্যাটিং-বোলিংয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টাইগাররা ছিল দুর্দান্ত। কিন্তু গতকাল টস হেরে ফিল্ডিংয়ে নেমে সফরকারী বোলারদের স্বরূপে দেখা যায়নি। এমন হতাশার দিনে অবশ্য আলো ছড়ালেন তাসকিন আহমেদ। স্বাগতিক ইনিংসের শেষ ওভারে হ্যাটট্রিক করেন এ পেসার। পঞ্চম বাংলাদেশি বোলার হিসেবে এ কীর্তি গড়লেন এ ডানহাতি। যে কারণে উপুল থারাঙ্গার দল ৩১১ রানে থেমেছে। যা কিছুটা হলেও জয়ের আশা জাগিয়েছে মাশরাফি বিন মুর্তজাদের।
গতকাল টস হেরে ফিল্ডিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো করে বাংলাদেশ। প্রথম ওয়ানডের মতো গতকালও মাশরাফির হাত ধরে উইকেটের দেখা পায় টাইগাররা। এরপর অবশ্য উপুল থারাঙ্গা ও কুশল মেন্ডিস সফরকারীদের বোলিংয়ের বিপক্ষে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। দ্বিতীয় উইকেটে ১১১ রান যোগ করে বড় স্কোরের ইঙ্গিত দেন এ জুটি। ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে বোলারদের ব্যবহার করেও এ জুটি ভাঙতে পারছিলেন না টাইগার অধিনায়ক। শেষ পর্যন্ত ইনিংসের ৩৭তম ওভারে মোস্তাফিজের নো বলের পরও রান আউটের ফাঁদে পা দেন থারাঙ্গা। তার আগে লঙ্কান অধিনায়ক ৭৬ বলে ৯ চারে ৬৫ রান করেন।
থারাঙ্গার বিদায়ের পর বাংলাদেশের কাঁটা হয়ে দাঁড়ান কুশল মেন্ডিস। সফরকারী বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে খেলেন এ ডানহাতি। এক পর্যায়ে তুলে নেন ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি। বলা যায় ৪০ ওভার পর্যন্ত দাপটের সঙ্গেই ব্যাটিং করে স্বাগতিকরা। এক সময় মনে হয়েছিল দ্বিতীয় ওয়ানডেতে রান বুঝি ৩৫০ হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু শেষ দিকে গুনারতেœ ছাড়া আর কোনো ব্যাটসম্যান টাইগারদের বোলিংয়ে সুবিধা করতে পারেননি। কিন্তু তিনি ইনিংস শেষ করে আসতে পারেননি।
তাসকিনের ফুল লেংথ বল উড়িয়ে মারতে গিয়ে ধরা পড়েছেন মিড অফে। তবে তার আগে পরিস্থিতির দাবি মিটিয়ে খেলেছেন ২৮ বলে ৩৯ রানের দারুণ ইনিংস।
পরের বলেই উড়িয়ে মারতে গিয়ে মিড উইকেটে তাসকিনের বলে মোস্তাফিজের ক্যাচে পরিণত হন সুরাঙ্গা লাকমল। এরপর হ্যাটট্রিক বল তাসকিন করলেন ইয়র্কার। নুয়ান প্রদীপ হাঁকালেন। বল উড়িয়ে দিল বেলস। হ্যাটট্রিক! এরপর তাসকিনের সেই চিরচেনা দুই হাত প্রসারিত করে উল্লাস। তার সঙ্গে সতীর্থরাও যোগ দেন।
বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত তিনশ রানের ওপরে চেজ করতে নেমে জিতেছে তিনবার। এর মধ্যে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে টাইগারদের জয়ের রেকর্ড ২০১৫ বিশ্বকাপে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে। সেবার ৩১৮ রান তাড়া করে ম্যাচ জিতে নিয়েছিল মাশরাফির দল। যে ম্যাচে তামিম ইকবাল করেছিলেন ৯৫ রান। সাকিব, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ করেছিলেন হাফসেঞ্চুরি। সাব্বির রহমান খেলেছিলেন মারমুখী ৪২ রানের ইনিংস। হয়তো সেই ম্যাচটিই গতকাল নিজেদের অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে সফরকারীদের।
Add Comment