নিজস্ব প্রতিবেদক: কমে আসা রপ্তানির পালে হাওয়া দিতে তৈরি পোশাক ব্যবসায়ীদের আরও সুবিধা দিল সরকার। রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলের (উন্নয়ন) আকার বৃদ্ধি করেছে। এতে ব্যবসায়ীদের ধার নেয়ার পরিমাণও বাড়ল। একইসঙ্গে এই তহবিল থেকে অর্থ ধার নিতে বিশেষ সুদহারও কমিয়ে দেয়া হল। ফলে রপ্তানিকারকদের মুনাফার পরিমাণ আরও বাড়বে।
তহবিলের পরমিাণ বৃদ্ধি এবং সুদের হার কমানোর পর আজ ১৭ মে (রোববার) প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। রপ্তানিকারকদের এই সুবিধা তৈরি পোশাক কর্মীদের কতোটুকু কাজে লাগবে; তা সময়ই বলে দিবে।
নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংকের রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল (ইডিএফ) থেকে একজন তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক এখন থেকে তিন কোটি ডলার পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবেন। এতদিন এই সীমা ছিল আড়াই কোটি ডলার।
জানা গেছে, ২০১৮ সালের ২১ মে’র নির্দেশনা অনুযায়ী, উৎপাদনকারী-রপ্তানিকারকদের জন্য উপকরণাদি আমদানির ক্ষেত্রে অনুমোদিত ডিলার রপ্তানি ঋণপত্র/নিশ্চিত চুক্তি/ অভ্যন্তরীণ ব্যাক টু ব্যাক ঋণপত্রের বিপরীতে রপ্তানি আয়ের প্রধান খাত তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ এবং বস্ত্র শিল্প মিল মালিকদের সংগঠন বিটিএমই’র একজন সদস্য ইডিএফ থেকে সর্বোচ্চ দুই কোটি ৫০ লাখ ডলার ঋণ গ্রহণ করতে পারত।
বর্তমানে ইডিএফ এর আকার সাড়ে তিনশত কোটি ডলার। এটিকে বৃদ্ধি করে ৫০০ কোটি ডলারে উন্নীত করা হল। নতুন করে এ তহবিল থেকে নেয় ঋণসুদের হার হবে দুই শতাংশ। এতোদিন লাইবর (লন্ডন ইন্টারব্যাংক অপার রেট) এর সঙ্গে এক দশমিক পাঁচ শতাংশ যোগ করে সুদের হার নির্ধারণ করা হত। সেক্ষেত্রে লাইবর রেট প্রতিদিনই উঠানামা করায় ঋণসুদের হার ৩ থেকে ৪ শতাংশের মতো পড়ে যেতো।
জানা গেছে, এই ঋণের দুই শতাংশ সুদের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংককে দিতে হবে এক শতাংশ। আর যে ব্যাংকগুলো ঋণ বিতরণ করবে তারা রাখতে পারবে সর্বোচ্চ এক শতাংশ। এভাবে ঋণের সুদহার হবে দুই শতাংশ।
ব্যাক টু ব্যাক এলসির আওতায় কাঁচামাল আমদানি সুবিধা বাড়াতে তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ, বিটিএমএ, নিট পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিকেএমইএসহ অন্যান্য রপ্তানিকারক সংগঠনের সদস্যরা ইডিএফ থেকে ঋণ পেয়ে থাকেন।
বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে অর্থনীতিতে বিরুপ প্রভাব পড়ছে। অর্থনীতিকে টেনে তুলতে ব্যবসায়ীদের একের পর এক নতুন প্রণোদনা দিয়ে চলেছে সরকার।