প্রতিনিধি, নোয়াখালী: নোয়াখালীতে ৩৮ পুলিশ সদস্যসহ নতুন করে একদিনে মোট ৯০ জনের করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ১৭ জন, বেগমগঞ্জ ৫৪ জন, সোনাইমুড়ি ১১ জন, সেনবাগ ৩ জন, কবিরহাট ৫ জন।
এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৬৫ জন। নতুন করে আরো ২ জনসহ মোট মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের। রোববার (৩১ মে) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোমিনুর রহমান।
তিনি বলেন, গত ২৮ ও ২৯ মে তাদের শরীরের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা জন্য আব্দুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজ ও নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) ল্যাবে পাঠানো হয়। পরে ৩০ মে রাতে তাদের রিপোর্ট আসলে তাতে করোনা পজিটিভ আসে। এদের একজন সদর উপজেলার ৬নং নোয়াখালী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আশরাফুল ইসলাম আবু।
আক্রান্তদের মধ্যে ৩৮ জন পুলিশ সদস্যসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ রয়েছেন।তাদের মধ্যে ৪৬ জনকে মাইজদী শহীদ ভুলু স্টেডিয়ামে স্থাপিত অস্থায়ী করোনা হাসপাতালের আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। ৫৬৫ জন নিজ নিজ বাড়িতে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন। বয়স্ক একজনকে ঢাকায় চিকিৎসা জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তিনি বর্তমানে সুস্থ রয়েছেন। ৪১ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। ১২ জন করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
তিনি আরও বলেন, শনাক্ত হওয়া প্রায় সবাই জ্বর ও কাশিতে ভুগছিল। এমন খবরের ভিত্তিতে তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। সে নমুনায় তাদের করোনা পজিটিভ আসে।
এদিকে নোয়াখালী পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন বলেন, জেলার ৩৮ জন পুলিশ সদস্য করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় বেগমগঞ্জের চৌমুহনী ফাঁড়ি ও সদরের সোনাপুর পুলিশ ফাঁড়ি লকডাউন করা হয়েছে।
নোয়াখালীতে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের হার বেড়ে যাওয়ায় প্রশাসন জেলার বাণিজ্য কেন্দ্র চৌমুহনী বাজার ৩১ মে থেকে ৩য় দফায় লকডাউন করেছে আগামী ৭ জুন পর্যন্ত।
সর্বশেষ মৃত্যু ১২ জনের মধ্যে বেগমগঞ্জ ৬, সোনাইমুড়ি ২ জন, সেনবাগ ২ জন ও সুবর্ণচর একজন। এদিকে ২৪ ঘন্টায় নমুনা প্রেরিত হয়েছে ৩০৬ জনের। আর প্রাপ্ত ফলাফল এসেছে ১৬৫ জনের। যার ৯০ জন পজিটিভ ও নেগেটিভ ৭৫ জন। এ পর্যন্ত মোট নমুনা প্রেরণ ৪৪৬৪ জন। প্রাপ্ত ফলাফল ৩৯৫৮ জন।
পজিটিভ ৬৬৩ জন। নেগেটিভ ৩২৯৫ জন। আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা ৬১২ জন। কভিড হাসপাতালে নামীয় শহীদ ভুলু স্টেডিয়াম ভর্তি রোগীর সংখ্যা ১৯ জন। করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা উপজেলা ভিত্তিক হারে সদর উপজেলায় ১৩৮ জন, সুবর্ণচর ১৭ জন, হাতিয়া ৬ জন, বেগমগঞ্জ ৩১৪ জন, সোনাইমুড়ি ৪৭ জন, চাটখিল ৩৭ জন, সেনবাগ ৩১ জন, কোম্পানীগঞ্জ ৮ জন ও কবিরহাট ৬৭ জন।আক্রান্তের হার ১৬.৮০%। সুস্থতার হার ৬.১৬%।