বগুড়া পৌর উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী

নিয়াজ পেলেন জাতিসংঘের শান্তি পদক

প্রতিনিধি, বগুড়া: বাংলাদেশ নৌবাহিনীর যে ১১০ সদস্য গত বছর জুলাইয়ে জাতিসংঘ মিশনে লেবাননে গিয়েছেন, তাদের মধ্যে আছেন তিনজন ক্রীড়াবিদও। এর মধ্যে অন্যতম হলেন দেশের সাঁতারের পরিচিত মুখ এবং বর্তমানে বাংলাদেশ নৌবাহিনী সাঁতার দলের প্রধান কোচ, সিনিয়র চিফ পেটি অফিসার নিয়াজ আলী। অন্য দুজনের একজন শুটিংয়ের শিহাব ও হকির খায়রুল ইসলাম।

বাংলাদেশ নৌবাহিনীর এ দলের জাতিসংঘ মিশন শেষ হয়েছে গত বুধবার। বুধবারই তাদের প্রদান করা হয়েছে জাতিসংঘ শান্তি পদক।

লেবানন থেকে বগুড়া পৌর উচ্চ বিদ্যালয়ের (বাংলা স্কুল) সাবেক শিক্ষার্থী নিয়াজ আলী বলেন, বুধবারে আমাদের মিশন শেষ হয়েছে। সবাইকে পদক দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার জাহাজের মধ্যেই আমাদের নিয়ে কেক কেটে পার্টি করা হয়েছে। আমরা সফলভাবে মিশন শেষ করেছি। এখন ঘরে ফেরার অপেক্ষায়।’

করোনাভাইরাসের কারণে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ রয়েছে। যে কারণে নির্ধারিত সময়ে আসা হচ্ছে না তাদের।

বগুড়া পৌর উচ্চ বিদ্যালয়ের (বাংলা স্কুল) সাবেক এ শিক্ষার্থী আরও জানান, আমার পথচলা সাঁতারু হিসেবে ১৯৯৪ সালে পৌর উচ্চ বিদ্যালয়ের (বাংলা স্কুল) দেলোয়ার স্যারে হাত ধরে। রাজশাহী বিভাগের মধ্যে সেরা সাঁতারু হয়েছি। তারপর থেকে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক সাঁতারে অংশ নেওয়া শুরু। দেশে জাতীয় সাঁতারে টানা ১৪ বছর সোনা পেয়েছি এবং ১৯৯৯ সালে দেশ সেরা সাঁতারু হয়েছি।

আন্তর্জাতিক সাফ গেমস, এশিয়ান গেমস, কমনওয়েলথ গেমস, বিশ্ব সাঁতার গেমসে বাংলাদেশের পতাকা বহন করেছিলাম এবং সেই গেমসে সাফ রেকর্ড করেছিলাম। এশিয়ান গেমসে ৪২টা দেশের মধ্যে ১৩তম হয়ে সেমিফাইনালে উঠেছিলাম এবং ৭২টা দেশের ১৪তম হয়েছিলাম। কমনওয়েলথ গেমস সেমিফাইনালে উঠেছিলাম আর বিশ্ব সাঁতারে ১৮২ দেশের মধ্যে ৫২তম হয়েছি এছাড়াও বর্তমানে আমি নৌবাহিনীর চিফ কোচ হিসেবে আছি। তাছাড়া আমাকে নৌবাহিনী চীন থেকে সাঁতারের উপরে চার মাসের কোচ করে নিয়ে এসেছে। ২০১৬ সালে এবং কোচের সফলতার ২০১৯ সালে জাতীয় সাঁতারে ৩২ সোনা জিতে বাংলাদেশ নৌবাহিনী চাম্পিয়ন হয় আর এ সফলতার জন্যই আজ এ মিশন।

নিয়াজ আলী আরও বলেন, তার জীবনের এ সফলতার পেছনে বগুড়া পৌর উচ্চ বিদ্যালয়ের (বাংলা স্কুল) প্রধান শিক্ষক মরহুম জহুরুল ইসলাম ও সহকারী শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন স্যারের অবদান মৃত্যু পর্যন্ত ভুলতে পারবেন না। এছাড়াও বাংলা স্কুলের সব শিক্ষক ও বন্ধুদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

নিয়াজ আলী আরও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন, তার সহধর্মিণী মুন মুন চৌধুরী ও একমাত্র কন্যা নায়না মেহেজাবিন নিয়াজের প্রতি। তার সহধর্মিণী মুন মুন চৌধুরী সর্বদা তাকে উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা যুগিয়ে চলেছেন। নিয়াজ আলী তার একমাত্র কন্যা নায়না মেহেজাবিন নিয়াজকে নিয়ে স্বপ্ন দেখেন তার মতোই যেন বাংলাদেশের লাল-সবুজ পতাকার সম্মান বিশ্ব দরবার থেকে বয়ে আনবে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০