নিজস্ব প্রতিবেদক: তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ড. রুবানা হক, শ্রমিক ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দেননি বলে সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়ছে। গতকাল এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় দেশের তৈরি পোশাক কারখানা মালিকদের এ সংগঠনটি। এতে বলা হয়, ৬ জুন ‘গার্মেন্ট শ্রমিক অধিকার আন্দোলন’-এর ব্যানারে একটি সংবাদ সম্মেলনের প্রতি বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। বিজিএমইএ মনে করে, বিষয়টি বস্তুনিষ্ঠভাবে উপস্থাপিত হয়নি। বিজিএমইএ সভাপতি শ্রমিক ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দেননি।
সংগঠন হিসেবে এ ধরনের ঘোষণা দেওয়ার কোনো সুযোগও নেই। বিজিএমইএ সভাপতি কর্মসংস্থান হ্রাস পাওয়া এবং সম্ভাব্য শ্রমিক ছাঁটাইয়ের বিষয়ে তার গভীর উদ্বেগ ও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। বিজিএমইএ বলছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে (জুলাই-এপ্রিল) পোশাকশিল্পে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ঋণাত্মক ১৪ শতাংশ, যা শিল্পে গত পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি। গত মে মাসে শিল্পে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ঋণাত্মক ৫৫ দশমিক সাত শতাংশ। আর চলতি বছরের মার্চ থেকে এ পর্যন্ত পোশাকশিল্পে তিন বিলিয়ন ডলারেও অধিক ক্রয়াদেশ বাতিল হয়ে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে পোশাকশিল্পের আন্তর্জাতিক বাজারগুলো কভিড-১৯-এর প্রভাবে সংকুচিত হয়ে পড়েছে। কোভিড-১৯-এর কারণে অনেক বড় ক্রেতাও দেউলিয়াত্ব বরণ করেছে।
বিজিএমইএ’র দাবি, চলমান পরিস্থিতিতে প্রকৃতপক্ষে কোনো কারখানাই সামর্থ্যের শতভাগ ব্যবহার করতে পারছে না। ৩৫ শতাংশ সক্ষমতায় কারখানা সচল রেখেছে, এমন ঘটনাও আছে। বড় কারখানাগুলোও ৬০ শতাংশের বেশি সক্ষমতা ব্যবহার করতে পারছে না। এছাড়া চলতি জুনে পোশাক কারখানাগুলো গড়ে ৫৫ শতাংশ সক্ষমতা ব্যবহার করে কোনো রকমে উৎপাদন কার্যক্রম চালু রাখছে।