নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রকৌশল খাতের কোম্পানি ন্যাশনাল পলিমার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের তৃতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) প্রায় ২০ শতাংশ কমেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রকাশিত চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২০) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের মাধ্যমে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্যমতে, তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে এক টাকা এক পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল এক টাকা ২৬ পয়সা। অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি আয় তথা ইপিএস কমেছে ২৫ পয়সা বা ১৯ দশমিক ৮৪ শতাংশ। আর গত ৯ মাসে (জুলাই, ২০১৯- মার্চ, ২০২০) বা তিন প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে তিন টাকা ৬৭ পয়সা, আগের বছর একই সময়ে ছিল দুই টাকা ৫৬ পয়সা।
এদিকে, ২০২০ সালের ৩১ মার্চে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩৫ টাকা ৪৩ পয়সা, যা ২০১৯ সালের ৩০ জুনে ছিল ৩১ টাকা ৯৫ পয়সা।
আর ২০২০ সালের ৩১ মার্চ সমাপ্ত তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ দাঁড়িয়েছে আট টাকা ১৩ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় পাঁচ টাকা ১২ পয়সা ছিল।
প্রকৌশল খাতের ‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি ১৯৯৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ৩০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৩৬ কোটি ৪৯ লাখ ২০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৬৬ কোটি ৬৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির মোট তিন কোটি ৬৪ লাখ ৯১ হাজার ৮৩৫টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৪৩ দশমিক ১১ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর ১০ দশমিক ২২ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে ৪৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
কোম্পানিটি ২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য ২২ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। সমাপ্ত এ হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে চার টাকা ২৫ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৩৮ টাকা ৯৮ পয়সা। কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ পরিচালন অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) দাঁড়িয়েছে ২২ পয়সা।
এদিকে গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর অপরিবর্তিত থেকে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ৫৬ টাকা ৬০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল ৫৬ টাকা ৬০ পয়সা। দিনজুড়ে ২৯০টি শেয়ার পাঁচবার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ১৬ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর ৫৬ টাকা ৬০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ৪৯ টাকা থেকে ১৩৩ টাকা ৯০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।
এর আগে ২০১৮ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সমাপ্ত হিসাববছরে নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের ২২ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড দিয়েছে, যা তার আগের বছরের চেয়ে দুই শতাংশ বেশি। আলোচিত সময়ে ইপিএস হয়েছে তিন টাকা ২৪ পয়সা এবং এনএভি দাঁড়িয়েছে ৪৩ টাকা ৩২ পয়সা, যা তার আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে তিন টাকা ২৭ পয়সা ও ৫০ টাকা ৪২ পয়সা। ২০১৮ সালে মুনাফা করেছে সাত কোটি ৯৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা, যা আগের বছর হয়েছিল ছয় কোটি ৬৭ লাখ ৪০ হাজার টাকা।
সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য-আয় অনুপাত ১৩ দশমিক ৩২ এবং হালনাগাদ অনিরীক্ষিত ইপিএসের ভিত্তিতে ১০ দশমিক ৬৪।