নিজস্ব প্রতিবেদক: আর্থিক খাতে স্বল্প ও মধ্যমেয়াদির সব শর্ত পূরণের জন্য পর্যাপ্ত তারল্য রয়েছে আইপিডিসির। ৩১ মার্চ ২০২০ পর্যন্ত হিসাব অনুযায়ী আইপিডিসির উদ্বৃত্ত তারল্যের পরিমাণ ৪৯২ কোটি ৫০ লাখ টাকা। আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেডের চলতি বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে ১০০% এরও বেশি উদ্বৃত্ত সঞ্চিতি রেখেও কর আদায়ের পর মুনাফার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৫ কোটি টাকা। বেসরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে আইপিডিসি ফাইন্যান্সের অনাদায়কৃত ঋণের পরিমাণ অত্যন্ত কম, মাত্র এক দশমিক ৫৩ শতাংশ। গ্রাহক ডিপোজিটের প্রবৃদ্ধির হার ছয় দশমিক চার শতাংশ। প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান মূলধন পর্যাপ্ততা হার ১৭ দশমিক ৬০ শতাংশ, যেখানে নিয়মানুযায়ী ১০ শতাংশ থাকলেই শর্ত পূরণ হয়ে যায়। গত রোববার বছরের প্রথম প্রান্তিক পারফরম্যান্স, অঙ্গীকার ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আইপিডিসির বিশেষ আয়োজন ‘ইনভেস্টরস মিট’ অনুষ্ঠানে ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মমিনুল ইসলাম এসব তথ্য জানান।
অনলাইনে অনুষ্ঠিত ‘ইনভেস্টরস মিট’ এ বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে আর্থিক অবস্থান শক্তিশালী থাকলেও, ভবিষ্যৎ সংকটের আশঙ্কা এড়াতে আরও বেশি মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানান মমিনুল ইসলাম।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেড তাদের অর্থনৈতিক অবস্থা, বেঞ্চমার্ক, কৌশলগত উদ্যোগ নিয়ে প্রথম প্রান্তিক অধিবেশনটি পরিচালনা করে। অধিবেশনটিতে দেশে চলমান করোনা মহামারির মধ্যেও যে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ নেওয়া হয়েছে তা তুলে ধরা হয়।
আইপিডিসির প্রধান প্রধান বিনিয়োগকারী, ইন্ডাস্ট্রি এক্সপার্ট, গ্রাহক এবং সাংবাদিকদের অনেকেই অধিবেশনে অংশ নেন। এতে শুধু প্রথম প্রান্তিকের অবস্থানই তুলে ধরা হয়নি, বরং করোনা মহামারিতে প্রতিষ্ঠানটির টিকে থাকার লড়াইয়ের গল্পও তুলে ধরা হয়। প্রথম ত্রৈমাসিক সাফল্য ও উদ্যোগ উপস্থাপনের সময় মমিনুল ইসলাম কভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাবার জোর দেন এবং গ্রাহক ও দেশের মানুষের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
অধিবেশনে দেশের আর্থিক খাতে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি সাধনকারী আইপিডিসির বেশ কয়েকটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের সাফল্য তুলে ধরেন। তাছাড়া দেশের একমাত্র ডিজিটাল রিটেইল ফাইন্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম আইপিডিসি ডানার অধীনে ২০২০ সালের মধ্যে ২৮,০০০ রিটেইলারের জন্য প্রায় ১০০ কোটি টাকার কার্যকরী মূলধন অর্থায়নের লক্ষ্য রয়েছে। এতে সহজেই, স্বল্প ব্যয়ে, জামানত মুক্ত ও সংগঠিত পদ্ধতিতে রিটাইলারদের জন্য অর্থের সংস্থান করে স্বনির্ভর ব্যবসার সুযোগ করা সম্ভব।
